জেলা যুবলীগের ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রি।
রংপুরে শাক-সবজিসহ নিত্য পণ্যের বাজারে দামের উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এর ফলে সাধারন মানুষের সমস্যায় পরতে হচ্ছে। চলতি রমজানে বেড়েছে দুধ,ডিমসহ মাংসের দামও।
বাজার ভেদে গরুর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে ৭২০ টাকা থেকে সাড়ে ৭’শ টাকা কেজি।
এতে করে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তদের শখ করেও সেহরীতে গরুর মাংস খাওয়া কষ্টকরা হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মাসব্যাপী মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে জেলা যুবলীগ রংপুর।
গত মঙ্গলবার(২৬মার্চ) থেকে নগরীর নজরুল চত্ত্বর এলাকায় ৬৮০ টাকা মূল্যে দুই শতাধিক মানুষের মাঝে ১৪০ কেজি মাংস বিক্রি করা হয়।মুলাটোল,গণেশপুর, কামারপাড়া,বাবুখাঁসহ আশপাশের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে আসা অস্বচ্ছল-দিন খেটে খাওয়া পরিবারের সদস্যরা লাইন ধরে ন্যায্য দামে গরুর মাংস কিনে নিয়ে যান। বেলা ২টার মধ্যেই শেষ হয়ে মাংস।
যুবলীগের এমন কার্যক্রম আগামীতে অব্যহত রাখার দাবী জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লহ্মীন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, সহ-সভাপতি নওশাদ আলম রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সোহেল, রংপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য, আজিজুল ইসলাম মুরাদ, রাজিব হাসান সুমন যুবলীগ নেতা আদনান হোসেন, আবু হোসেন, নাহিদ হাসান সাদ্দাম, মাহমুদুর রহমান অভিসহ অন্যরা।
রংপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি বলেন, মাহে রমজান উপলক্ষে যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে আমরা মাসব্যাপী নানা মানবিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
এর মধ্যে ইফতার, সেহরী, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করেছি।
দাম বৃদ্ধির জন্য যারা রোজায় মাংস খেতে পারেনি তারা আজ ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস কিনে নিয়ে গেছে। রংপুর জেলা যুবলীগের এ ধরনের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যহত থাকবে।