বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সকল অপশক্তি পরাস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
জনগণকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন তা সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের পরিকল্পনা দেখুন, বিবেচনা করুন, কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই বাংলাদেশকে রক্ষা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ইশরাক বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভয় ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও সন্ত্রাসের শিকার হলেও আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি, কিন্তু ভয় পাইনি। যারা আবার ক্ষমতায় ফিরে এসে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র জনগণের সামনে স্পষ্ট। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমাদের আন্দোলন থামাতে পারবে না।
তিনি সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর পরই বিএনপি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রার্থীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনা এবং এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদুল্লাহর ওপর হামলার বিষয়টি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন দাবি করেন, এসব হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত এবং সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া অডিও বার্তায় হত্যার নির্দেশ ও প্রার্থী টার্গেট করার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এসব ঘটনায় সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও সদিচ্ছার অভাবের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে সব ধরনের হুমকি চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে আরও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সকল প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থানে দৃঢ় থাকার আহ্বান জানিয়ে ইশরাক বলেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, দেশের এই সংকটময় সময়ে তার মতো একজন অভিভাবকের নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি মহান আল্লাহর কাছে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ও ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
গেন্ডারিয়া থানা জাসাসের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল হোসেন টিপু, সদস্য হাজী মো. আকতার হোসেন, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাদির, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ অপু ঢালী, রফিকুল ইসলাম সোহেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ডিজিটাল ডেস্ক 























