ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আইসিটি মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে বললেন তথ্য উপদেষ্টা আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল বললেন তামিম প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করেছে বললেন দুদু কেনাকাটায় ৪ কোটি টাকার অনিয়ম,পশ্চিমাঞ্চল রেল ভবনে দুদকের অভিযান সংস্কার হলে শ্রম খাতের ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বললেন শ্রম উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮২ জনের চাকরির সুযোগ ২৮ জনকে হত্যায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রামপুরায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আবারও বৈঠকে বসছে কমিশন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি সকালেও ভাঙা হচ্ছে 

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ভাঙচুরের মুখে পড়েছে বাড়িটি।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ক্রেন ও এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ভাঙতে দেখা গেছে। কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার সাবধান।’ বাড়ির সামনের অংশে তিনতলা পর্যন্ত অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

সরজমিন দেখা যায়, ৩২ নম্বরে ভাঙনের মুখে পড়া বাড়িটির আশপাশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনেকটা শান্ত। ধ্বংসস্তূপে দু একজন মানুষ উঠে ইট সরানোর কাজ করছে। সকাল থেকেই মানুষ ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন। জড়ো হতে থাকা এসব মানুষ নানা রকম স্লোগান দিচ্ছেন।

রহিম উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘রাতে আসার সময় পাইনি। পুরান ঢাকায় থাকি। রাতে আসতে না পারায় সকালে সর্বশেষ অবস্থা দেখতে এসেছি।’

মাহমুদ নামে এক যুবক বলেন, ‘সকালে এসেছি রাতে কী অবস্থা হয়েছে সেটা দেখার জন্য। আমরা হাসিনার কোনো অস্তিত্ব দেশে চাই না। দ্রুত তাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে।’

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হয়। পলাতক অবস্থায় তার এই বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়াদের মাঝে। দিনেই ঘোষণা দেয়া হয় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের সময় ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। রাত আটটার দিকে দলে দলে শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ মানুষ ধানমন্ডি-৩২ এর দিকে যেতে থাকেন। ফটক ভেঙে শিক্ষার্থী ও জনতা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের কেউ কেউ হাতে থাকা লাঠি ও ভারি বস্তু দিয়ে স্থাপনার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করেন।

লোহার জিনিস খুলে নিতে দেখা যায় কাউ কাউকে। বাড়ির সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরালটিতে ভাঙচুর করা হয়। রাত নয়টার দিকে ভবনের একটি অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী-জনতা বাড়ির ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের কেউ কেউ ‘মুজিববাদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মুজিববাদের আস্তানা বাংলাদেশে হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’ এমন স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অভ্যুত্থানের দিনেই শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাসস্থান ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক এই বাসস্থান সর্বশেষ ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে পরিচিত ছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিটি মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি সকালেও ভাঙা হচ্ছে 

আপডেট সময় ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ভাঙচুরের মুখে পড়েছে বাড়িটি।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ক্রেন ও এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ভাঙতে দেখা গেছে। কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার সাবধান।’ বাড়ির সামনের অংশে তিনতলা পর্যন্ত অনেকটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

সরজমিন দেখা যায়, ৩২ নম্বরে ভাঙনের মুখে পড়া বাড়িটির আশপাশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনেকটা শান্ত। ধ্বংসস্তূপে দু একজন মানুষ উঠে ইট সরানোর কাজ করছে। সকাল থেকেই মানুষ ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন। জড়ো হতে থাকা এসব মানুষ নানা রকম স্লোগান দিচ্ছেন।

রহিম উদ্দিন নামে একজন বলেন, ‘রাতে আসার সময় পাইনি। পুরান ঢাকায় থাকি। রাতে আসতে না পারায় সকালে সর্বশেষ অবস্থা দেখতে এসেছি।’

মাহমুদ নামে এক যুবক বলেন, ‘সকালে এসেছি রাতে কী অবস্থা হয়েছে সেটা দেখার জন্য। আমরা হাসিনার কোনো অস্তিত্ব দেশে চাই না। দ্রুত তাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে।’

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হয়। পলাতক অবস্থায় তার এই বক্তব্য প্রচারকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়াদের মাঝে। দিনেই ঘোষণা দেয়া হয় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের সময় ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। রাত আটটার দিকে দলে দলে শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ মানুষ ধানমন্ডি-৩২ এর দিকে যেতে থাকেন। ফটক ভেঙে শিক্ষার্থী ও জনতা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের কেউ কেউ হাতে থাকা লাঠি ও ভারি বস্তু দিয়ে স্থাপনার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করেন।

লোহার জিনিস খুলে নিতে দেখা যায় কাউ কাউকে। বাড়ির সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ম্যুরালটিতে ভাঙচুর করা হয়। রাত নয়টার দিকে ভবনের একটি অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী-জনতা বাড়ির ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের কেউ কেউ ‘মুজিববাদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মুজিববাদের আস্তানা বাংলাদেশে হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’ এমন স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অভ্যুত্থানের দিনেই শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাসস্থান ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক এই বাসস্থান সর্বশেষ ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে পরিচিত ছিল।