পায়ের পাতা বা গোড়ালিতে ব্যথার কথা অনেকেই বলে থাকেন। অনেকে এই সমস্যায় সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পায়ের পাতা মাটিতে ফেলতেই পারেন না। এ রকম যদি হয়, সম্ভবত আপনি প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস নামক এক বিশেষ বাতরোগে ভুগছেন।প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস কী
প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস হচ্ছে বিশেষ ধরনের বাতরোগ। বিশেষ একধরনের তন্তু বা টিস্যু আমাদের এক হাড়ের সঙ্গে আরেক হাড়কে সংযুক্ত করে রাখতে সহায়তা করে। এ টিস্যু আঘাতজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষয়ে গেলে মেডিকেলের ভাষায় এটিকে বলে প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস। এটি সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি অনুভূত হয়, কারণ পা অনেকক্ষণ বিশ্রামে থাকলে এর ব্যথা বেড়ে যায়। এ ছাড়া পায়ের পাতা ভাঁজ করলে বা ভেতরের দিকে নিয়ে এলেও এ ব্যথা বেড়ে যায়। কিছুক্ষণ হাঁটার পর ব্যথা কমতে থাকে। এ ব্যথা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। দুই পায়েই এ ব্যথা হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুরুতে এক পায়েই অনুভুত হয়। রোগীরা অনেক সময় ব্যথার পাশাপাশি পায়ে ঝিনঝিন বা জ্বালাপোড়ার কথাও বলে থাকেন।
অনেক সময়ই এ বাতরোগের কারণ নির্ণয় করা যায় না। তবে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে, মাত্রাধিক পায়ের পাতার ব্যায়াম করলে পায়ের পাতার অংশগুলোতে বেশি চাপ পড়ে, সেটি থেকে প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস হতে পারে। অনেক সময় গোড়ালির হাড় বেড়েও এটি হতে পারে। ওজন বৃদ্ধির সঙ্গেও এটি সম্পর্কিত।
প্রতিকার
৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সাড়ানো সম্ভব। চিকিৎসক আপনার অবস্থা অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ দিতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু ব্যয়াম নিয়মিত করলেও উপকার পাওয়া যায়। অনেক সময় ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এ সব চিকিৎসাই অকার্যকর প্রমাণিত হলে কিছু ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে আরও কিছু বাতরোগেও পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা করেই নিশ্চিত করতে হবে যে এটা প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিসই। কারণ, প্রতিটি বাতরোগের আলাদা আলাদা চিকিৎসা রয়েছে।