রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতিবাচক, তবে সরকার উদ্যোগী না হলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
আজ সোমবার (০৩ নভেম্বর) আট দলের সাথে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় দলগুলোর নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন৷ সমাবেশ ও গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা৷
দাবি আদায়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা৷ সভা শেষে করা হয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন৷
যৌথ সংবাদ সম্মেলন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দলের সবাই, জনগণ ও সরকার একমত। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এ চাওয়া পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা বসতে রাজি৷”
তাহের আরও বলেন, যদি উপদেষ্টা পরিষদ কিছু না করে আমাদের ওপরই ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে কে?
তাহের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে হবে। সমমনা আটদল সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে চায়।
বিএনপির এক এক নেতা এক এক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে সেই ভোটের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না৷
বিএনপির একেকজন সংস্কার নিয়ে একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন-সনদের জন্য গণভোট অপরিহার্য বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মো. মামুনুল হক বলেন,
”আমরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলনে আছি তা অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের টেকসই আইনি ভিত্তির লক্ষ্যে অবশ্যই গণভোট হতে হবে৷ সংশোধিত আরপিও আর সংশোধনের সুযোগ নেই৷”
তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণমিছিল করা হবে৷ দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ নভেম্বর সমাবেশ করা হবে৷
মতপার্থক্যের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে৷ ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য আমরা আন্তরিক-এ কথা জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, একটি দল গণভোটের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা জুলাই পরবর্তী সময়ে অনুচিত।
একই অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন,
”জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে পরবর্তী নির্বাচন বৈধতা পাবে না৷ একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের ইতিহাস নেই।”
আমরা জাতীয় ইস্যুতে একসঙ্গে আছি কিন্তু অনেকে বলছে জামায়াতের নেতৃত্বে জোট করছি এটা ঠিক না বলেও জানান তিনি৷

অনলাইন ডেস্ক 






















