ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফজলুর রহমান বললেন দ্রুত নির্বাচন না দিলে মাঠে নামব

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ সৃষ্টি হত না। মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকেই বাংলাদেশ বের হয়েছে। যারা বাংলাদেশ মানে না, মুক্তিযুদ্ধ যারা মানে না, তারা বাংলাদেশের মানুষ না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হাজার বছরে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন।

দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের আয়ু যদি পাঁচ বছর হয়, অনির্বাচিত সরকারের আয়ু তিন থেকে ছয় মাস হতে পারে। ইলেকশনের কথা কইলে মুখ কালা করেন কেন? যদি আপনারা নির্বাচন করতে চান, দল করেন—আপনাদের অভিনন্দন জানাবো। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে।
দেশে এবারের বিজয় দিবসে উৎসব বা বিজয় মেলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘এবার তো বিজয়ের আনন্দ বেশি হওয়ার কথা ছিল। এত নীরবে-নিভৃতে কেন বিজয়ের মাস চলে যাবে? এটা আমি সহ্য করিনি, মুক্তিযোদ্ধারা সহ্য করেনি, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা সহ্য করেনি।
আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের সর্বনাশ করেছেন, নিজের সর্বনাশ করেছেন, তার পিতাকে ডুবিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। গত ১৫ বছর দেশে কোনো মানুষের শাসন ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান অবদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মানে না, তারা স্বাধীনতা মানে কি-না আমার সন্দেহ রয়েছে। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, তিনি রণাঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’বিজয় উৎসবে জেলার তিন হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের ৭২জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আলোচনা পর্ব শেষে রাতে উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে কণ্ঠশিল্পী সালমা, আশিক ও শাহনাজ বাবুসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ তাদের পরিবেশনা উপভোগ করেন।

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবের আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা ও অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া ও আমিনুল ইসলাম আশফাক।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম জুয়েল, মিঠামইন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি জেসমিন সুলতানা কবিতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু নাসের সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা হাফিজুল্লাহ হীরা প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফজলুর রহমান বললেন দ্রুত নির্বাচন না দিলে মাঠে নামব

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ সৃষ্টি হত না। মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকেই বাংলাদেশ বের হয়েছে। যারা বাংলাদেশ মানে না, মুক্তিযুদ্ধ যারা মানে না, তারা বাংলাদেশের মানুষ না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হাজার বছরে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন।

দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের আয়ু যদি পাঁচ বছর হয়, অনির্বাচিত সরকারের আয়ু তিন থেকে ছয় মাস হতে পারে। ইলেকশনের কথা কইলে মুখ কালা করেন কেন? যদি আপনারা নির্বাচন করতে চান, দল করেন—আপনাদের অভিনন্দন জানাবো। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে।
দেশে এবারের বিজয় দিবসে উৎসব বা বিজয় মেলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘এবার তো বিজয়ের আনন্দ বেশি হওয়ার কথা ছিল। এত নীরবে-নিভৃতে কেন বিজয়ের মাস চলে যাবে? এটা আমি সহ্য করিনি, মুক্তিযোদ্ধারা সহ্য করেনি, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা সহ্য করেনি।
আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের সর্বনাশ করেছেন, নিজের সর্বনাশ করেছেন, তার পিতাকে ডুবিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। গত ১৫ বছর দেশে কোনো মানুষের শাসন ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান অবদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মানে না, তারা স্বাধীনতা মানে কি-না আমার সন্দেহ রয়েছে। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, তিনি রণাঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’বিজয় উৎসবে জেলার তিন হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের ৭২জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আলোচনা পর্ব শেষে রাতে উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে কণ্ঠশিল্পী সালমা, আশিক ও শাহনাজ বাবুসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ তাদের পরিবেশনা উপভোগ করেন।

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবের আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা ও অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া ও আমিনুল ইসলাম আশফাক।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম জুয়েল, মিঠামইন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি জেসমিন সুলতানা কবিতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু নাসের সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা হাফিজুল্লাহ হীরা প্রমুখ।