বাংলাদেশে আবারও বেড়েছে ডলারের দাম। খোলাবাজারে এক ডলারের বিনিময়ে গুনতে হচ্ছে ১২৬ থেকে ১২৭ টাকা পয়সা পর্যন্তও। ব্যাংকগুলো বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছে। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানিতে ডলারের দাম বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
হটাৎ কেন বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম? এর কারণ খুঁজতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, অতীতের ক্রোলিং পেগ পদ্ধতিই থাকবে, নাকি পরিতর্তন-পরিমার্জন কিংবা নতুন কোন পলিসি নেওয়া হবে।
ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের ৮ মে ক্রোলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ১০ টাকা দাম বাড়িয়ে প্রতি ডলারের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা। এই ভিত্তি মূল্যের ২ শতাংশ বেশি-কমে, কেনা-বেচা হওয়ার কথা ছিলো ডলারের।
তখন থেকে বেশ কিছু দিন মোটামুটি ১২০ টাকার মধ্যে প্রতি ডলার কেনা-বেচা হতেও দেখা যায়। যদিও তখন থেকেই এর চেয়ে বেশি রেটে ডলার কিনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
ধাপে ধাপে একশো সাত, একশ সতেরোর পর এবার কি ১২৭ টাকা নির্ধারণের দিকে কি যাচ্ছে ডলারের দাম? ব্যাংক থেকে চাহিদামত ডলার মিলছে না! এলসিতেও গুণতে হচ্ছে ১২৬/১২৭ টাকা। খোলা বাজারে ডলার কমে গেছে। তাই কেন ক্রলিং পেগ পদ্ধতি কাজে এলো না, এর কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আইএমএফ’র শর্তে আছে, ডলার রেট সংক্রান্ত ডেটা মার্কেট থেকে সংগ্রহ করে প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, রেট যেনো উঠানামা করে এমন নিউ ক্রোলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দিচ্ছে পরামর্শ।
বিআইবিএম-এর সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত ডলারের মূল্য বাজারের উপর ছেড়ে দেয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেটাবেজে চলতি অর্থবছরের শুরুর দিনে ডলারের দাম রেকর্ড করা আছে ডলার প্রতি ১১৮ টাকা। ২২ ডিসেম্বরে তা দেখানো হচ্ছে ১২০ টাকায়। যেটি প্রকৃত বাজার দর থেকে ৭ টাকা কম।জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনছে। ফলে এক সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ কোটি ডলার বেড়েছে। তাতে গত বুধবার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার, যা আগের বুধবার ছিলো ২ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার।