ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হা*মলা, ৯ শিক্ষার্থীসহ চালক গুরু*তর আ*হত

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী বহনকারী উল্কা-৪ বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেই বাসের চালক জগদীশ গুরুতর আহত হয়েছেন। চালককে (মামা) বাঁচাতে গিয়ে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জবির বাসটি ক্যাম্পাসে আসার পথে মহাখালীর বাস টার্মিনাল এলাকায় একতা পরিবহনের চালক ও সহযোগীদের (হেল্পার) অতর্কিত হামলার শিকার।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাস মহাখালী ইউটার্ন এলাকায় আসলে আমাদের বাসের সামনে একতা বাস অবস্থান করছিলো। অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে রেখেছিলো। হর্ন দিলেও বাস সাইড দিচ্ছিলো না। যার ফলে সামনে এগোতে পারছিলো জবির বাসও। এ ঘটনায় জবির উল্কা-৪ বাস চালকের সঙ্গে একতা বাসের চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রায় পঞ্চাশজন বাসচালক ও ড্রাইভার মিলে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায় জবির বাস ও  শিক্ষার্থীদের ওপর।

(জবি) শিক্ষার্থী বহনকারী উল্কা-৪ বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেই বাসের চালক জগদীশ গুরুতর আহত হয়েছেন। চালককে (মামা) বাঁচাতে গিয়ে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জবির বাসটি ক্যাম্পাসে আসার পথে মহাখালীর বাস টার্মিনাল এলাকায় একতা পরিবহনে

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাস মহাখালী ইউটার্ন এলাকায় আসলে আমাদের বাসের সামনে একতা বাস অবস্থান করছিলো। অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে রেখেছিলো। হর্ন দিলেও বাস সাইড দিচ্ছিলো না। যার ফলে সামনে এগোতে পারছিলো জবির বাসও। এ ঘটনায় জবির উল্কা-৪ বাস চালকের সঙ্গে একতা বাসের চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রায় পঞ্চাশজন বাসচালক ও ড্রাইভার মিলে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায় জবির বাস ও  শিক্ষার্থীদের ওপর।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, একতা বাস এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে আমাদের বাস চালক মামা যখন একতা বাসের ড্রাইভারকে বলে তখন সে লাঠি দিয়ে আমাদের বাসচালক মামার ওপর হামলা চালায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমরা বাধা দেই। তখন আমাদের ওপরও হামলা চালায়। বাসে মেয়েরা ছিলো। তাদের উপরও ইট-পাথর ছুড়ে মারে।

জবির উল্কা-৪ বাস চালক জগদীশ বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে আমাদের গাড়ির সামনে একতার বাস ছিল। একতা বাসের সামনে কোনো গাড়ি ছিলো না। তাদের বারবার সাইড দেয়ার কথা বললেও তারা সাইড না দিয়ে বরং গাড়ি থেকে হেল্পার ও ড্রাইভার লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। সেখানে একতা বাসের আরো অনেক কর্মচারী ছিলেন তারাও আমাদের ওপর হামলা করে। হামলা করে আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং সারা শরীরে জখম করে করেছে। চোখে আঘাত করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে জবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, আমাদের ড্রাইভার জগদীশ মারাত্মক আহত। তার চোখটা ঠিক থাকবে কি-না নিশ্চিত না। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। শুধু জবির বাস না, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেই যেনো এমন হামলা কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ড্রাইভার, হেল্পার পলাতক। জবির কোনো বাসে যেনো এমন হামলা আর না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা বিষয়টির একটি সুরাহা করেছি। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও একতা পরিবহনের মালিকপক্ষ এসেছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস মেরামত, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও তারা ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে জানা যায়, এই ঘটনার জেরে একতা পরিবহনকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটনার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে মালিক পক্ষ। পরবর্তীতে দুই পক্ষের দীর্ঘ আলোচনায় এই জরিমানা ধার্য হয় বলে জানা যায়।

এ নিয়ে ঢাকা জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের একটি বাসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের ঝামেলা হয় ৷বিষয়টি আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে উপস্থিত থেকে সমাধান করে আসছি ৷আশা করছি ছাত্র ভাইরা বিষয়টি নিয়ে আর কিছু করবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহজেই এই ধরনের সমঝোতাকে ভালোভাবে নিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মহাখালীর একই জায়গায় জবির বাসের মেয়েদের ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে সৌখিন বাসের স্টাফদের হামলায় ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হা*মলা, ৯ শিক্ষার্থীসহ চালক গুরু*তর আ*হত

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী বহনকারী উল্কা-৪ বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেই বাসের চালক জগদীশ গুরুতর আহত হয়েছেন। চালককে (মামা) বাঁচাতে গিয়ে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জবির বাসটি ক্যাম্পাসে আসার পথে মহাখালীর বাস টার্মিনাল এলাকায় একতা পরিবহনের চালক ও সহযোগীদের (হেল্পার) অতর্কিত হামলার শিকার।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাস মহাখালী ইউটার্ন এলাকায় আসলে আমাদের বাসের সামনে একতা বাস অবস্থান করছিলো। অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে রেখেছিলো। হর্ন দিলেও বাস সাইড দিচ্ছিলো না। যার ফলে সামনে এগোতে পারছিলো জবির বাসও। এ ঘটনায় জবির উল্কা-৪ বাস চালকের সঙ্গে একতা বাসের চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রায় পঞ্চাশজন বাসচালক ও ড্রাইভার মিলে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায় জবির বাস ও  শিক্ষার্থীদের ওপর।

(জবি) শিক্ষার্থী বহনকারী উল্কা-৪ বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেই বাসের চালক জগদীশ গুরুতর আহত হয়েছেন। চালককে (মামা) বাঁচাতে গিয়ে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জবির বাসটি ক্যাম্পাসে আসার পথে মহাখালীর বাস টার্মিনাল এলাকায় একতা পরিবহনে

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাস মহাখালী ইউটার্ন এলাকায় আসলে আমাদের বাসের সামনে একতা বাস অবস্থান করছিলো। অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে রেখেছিলো। হর্ন দিলেও বাস সাইড দিচ্ছিলো না। যার ফলে সামনে এগোতে পারছিলো জবির বাসও। এ ঘটনায় জবির উল্কা-৪ বাস চালকের সঙ্গে একতা বাসের চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রায় পঞ্চাশজন বাসচালক ও ড্রাইভার মিলে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায় জবির বাস ও  শিক্ষার্থীদের ওপর।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, একতা বাস এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে আমাদের বাস চালক মামা যখন একতা বাসের ড্রাইভারকে বলে তখন সে লাঠি দিয়ে আমাদের বাসচালক মামার ওপর হামলা চালায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমরা বাধা দেই। তখন আমাদের ওপরও হামলা চালায়। বাসে মেয়েরা ছিলো। তাদের উপরও ইট-পাথর ছুড়ে মারে।

জবির উল্কা-৪ বাস চালক জগদীশ বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে আমাদের গাড়ির সামনে একতার বাস ছিল। একতা বাসের সামনে কোনো গাড়ি ছিলো না। তাদের বারবার সাইড দেয়ার কথা বললেও তারা সাইড না দিয়ে বরং গাড়ি থেকে হেল্পার ও ড্রাইভার লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। সেখানে একতা বাসের আরো অনেক কর্মচারী ছিলেন তারাও আমাদের ওপর হামলা করে। হামলা করে আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং সারা শরীরে জখম করে করেছে। চোখে আঘাত করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে জবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, আমাদের ড্রাইভার জগদীশ মারাত্মক আহত। তার চোখটা ঠিক থাকবে কি-না নিশ্চিত না। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। শুধু জবির বাস না, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেই যেনো এমন হামলা কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ড্রাইভার, হেল্পার পলাতক। জবির কোনো বাসে যেনো এমন হামলা আর না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা বিষয়টির একটি সুরাহা করেছি। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও একতা পরিবহনের মালিকপক্ষ এসেছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস মেরামত, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও তারা ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে জানা যায়, এই ঘটনার জেরে একতা পরিবহনকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটনার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে মালিক পক্ষ। পরবর্তীতে দুই পক্ষের দীর্ঘ আলোচনায় এই জরিমানা ধার্য হয় বলে জানা যায়।

এ নিয়ে ঢাকা জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের একটি বাসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের ঝামেলা হয় ৷বিষয়টি আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে উপস্থিত থেকে সমাধান করে আসছি ৷আশা করছি ছাত্র ভাইরা বিষয়টি নিয়ে আর কিছু করবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহজেই এই ধরনের সমঝোতাকে ভালোভাবে নিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মহাখালীর একই জায়গায় জবির বাসের মেয়েদের ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে সৌখিন বাসের স্টাফদের হামলায় ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন।