গত কোরবানির ঈদের সময় মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরে মতিউরের সম্পদের বিষয়টিও আলোচনায় চলে আসে।দুদক সূত্র জানায়, গত ৪ জুন কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ অনুসন্ধানে সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর গত ৩০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকা, নরসিংদী, মুলাদির সাবরেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কম্পানিসহ বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে । এর আগে গত দুই যুগে চারবার মতিউরে এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ উঠে। তিনি দুদক থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণ পায়নি দুদক। তবে যে চারটি পুরনো অভিযোগে অনুসন্ধান করা হয়েছিল তার মধ্যে কী কী অভিযোগে তিনি রেহাই পেয়েছিলেন—সেসব বিষয়ও এবার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।