দেশে মব উৎপাদনের সঙ্গে সরকার জড়িত কি না—এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে যে বিপ্লবী চরিত্র জনগণ প্রত্যাশা করেছিল, তা এখনও দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাশেদ খাঁন।
আজ সোমবার (২৩ জুন) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খাঁন।ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘গতকাল মবোক্রেসির মাধ্যমে লাঞ্ছিত হওয়ার পর বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার হয়েছেন। মবোক্রেসি ও লাঞ্ছনার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকার মবের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই মব উৎপাদনের সাথে সরকার জড়িত নয় কি?’
রাশেদ খাঁন আরও লিখেছেন, ‘সরকারের মাথায় কেন বিতর্কিত একতরফা, নৈশ ও ডামি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কমিশন, সচিব, ডিসি, এসপি এবং আওয়ামী লীগের ডামি, মামি, স্বতন্ত্রনামধারী এমপি ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার বা সম্পদ বাজেয়াপ্তের চিন্তা কাজ করে না? বরং সরকারের উপদেষ্টারা সাবের-মান্নানসহ বেশ কিছু ডামি এমপির জামিন করিয়েছে, পুনর্বাসন করছে। যাদের টাকা আর উপদেষ্টাদের সাথে আত্নীয়তার সম্পর্ক আছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে রাশেদ খাঁন লিখেছেন, ‘এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৩ হাজারেরও বেশি মাথাওয়ালা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শেখ পরিবারের একজনকেও সরকার ধরেনি। গণহত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত কতজনকে ধরা হয়েছে? তাহলে গণহত্যার বিচার কীভাবে হবে?’
রাশেদ খাঁন আরও মন্তব্য করেন, ‘সরকার যতদিন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হবে, ততদিন সমাজ থেকে মবোক্রেসি বন্ধ হবে না। মব উৎপাদনের দায় পুরোপুরি সরকারের। সরকারের দুর্বলতার কারণেই বারবার মবের ঘটনা ঘটছে।’