গাজীপুরে মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামির হয়ে কারাবন্দি হয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। বন বিভাগের করা মামলায় প্রধান আসামি সাত্তার মিয়া আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কারাগারে থাকার কথা থাকলেও তিনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। আর তার পরিবর্তে গাজীপুর জেলা কারাগারে বন্দি আছেন একই গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল।
প্রকৃত আসামি সাত্তার মিয়ার বয়স ৪৫ বছর। তার বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার মোথাজুরী তালচালা গ্রামে। কারাগারে থাকা সাইফুল ইসলাম (৩০) একই গ্রামের রহিম বাদশার ছেলে। এলাকাবাসীর দাবি, মামলার ঝামেলা এড়াতেই সাত্তারের লোকজন সাইফুলকে অর্থের লোভ দেখিয়ে তার নামে কাগজপত্র তৈরি করেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করান।
ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তালচালা গ্রামে গিয়ে পাওয়া যায় না সাত্তারকে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে মাওনায় অবস্থান করছেন। যদিও আদালতের নথি অনুসারে এই সময়ে তার থাকা উচিত ছিল জেলা কারাগারে।
কালিয়াকৈর কাচিঘাটা রেঞ্জের বিট অফিসার শরিফ খান বলেন, ‘স্থানীয়দের অস্ত্রের মুখে আমরা অসহায় তাই আলামত জব্দ করে ফিরে এসে মামলা দায়ের করি।’
কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামি এন্ট্রি করার সময় সে তার নাম সাত্তার বলেছে তাই সন্দেহ করিনি। পরে জানার পর বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে জানতে পারি, সে আসলে সাত্তার না; সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি আমরা আদালতে চিঠি দিয়ে অবগত করেছি।’
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ‘ভাড়াটে আসামি’ পাঠানোর এ ধরনের ঘটনা সমাজে গভীর প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

ডিজিটাল রিপোর্ট 






















