বাংলাদেশে মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিতে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজীকরণ ও সংশোধনের কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে।
মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এজন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম আরও সক্রিয় করা হবে এবং তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা জরুরি। হাতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেন, হাতির কাছে গিয়ে টিকটকসহ যেকোনো ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।