ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবাকে হত্যার পর মরদেহের পাশে ছেলে সিগারেট ধরায় নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ বললেন ইসি আনোয়ারুল আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করি বললেন মঈন খান দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নয় বললেন নৌ উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বললেন মির্জা ফখরুল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ বললেন প্রেস সচিব দুর্বৃত্তের আগুন এনসিপির নেতার বাড়ির গেটে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবক নিহত মুন্সিগঞ্জে কারামুক্তিতে বাধা নেই , লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আপিল বিভাগে বহাল খাগড়াছড়ি কারাগারের দেওয়াল টপকে পালালো দুই আসামী, আটক ১
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সংকটের মুহূর্তে জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান বললেন ড. খোন্দকার বাবলু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা বিএনপি এবং সকল অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানস্থান পরিপূর্ণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ ছেলে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।

এসময় খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, ৭ নভেম্বরের বিলম্ব ও সংহতি দিবসের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর নিদারুণ দুঃসময়ে দেশপ্রেমিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেভাবেই জাতীয় সংকটের মুহূর্তে তিনি জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না – এদেশ পার্শ্ববর্তী শক্তির সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।’

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সকল রাজনীতি বন্ধ করে ‘বাকশাল’ কায়েম করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন।

এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য একসাথে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হোক না কেন, ধানের শীষের বিজয়ের জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভাজন ও কোন্দল ভুলে গিয়ে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল — এখানে মতভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।

আলোচনা সভায় প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠপুত্র খোন্দকার আকতার হামিদ পবনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুই কন্যা কণ্ঠশিল্পী ডা. খোন্দকার আকতারা খাতুন লুনা ও ডা. দেলায়ারা বেগম পান্না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টার, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম কুন্টু, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম বিল্টু, মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইউনুস, বাঁচামারা কলেজের প্রিন্সিপাল রোকনউদ্দিন প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবাকে হত্যার পর মরদেহের পাশে ছেলে সিগারেট ধরায়

সংকটের মুহূর্তে জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান বললেন ড. খোন্দকার বাবলু

আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা বিএনপি এবং সকল অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানস্থান পরিপূর্ণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ ছেলে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।

এসময় খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, ৭ নভেম্বরের বিলম্ব ও সংহতি দিবসের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর নিদারুণ দুঃসময়ে দেশপ্রেমিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেভাবেই জাতীয় সংকটের মুহূর্তে তিনি জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না – এদেশ পার্শ্ববর্তী শক্তির সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।’

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সকল রাজনীতি বন্ধ করে ‘বাকশাল’ কায়েম করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন।

এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য একসাথে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, দলের স্বার্থে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হোক না কেন, ধানের শীষের বিজয়ের জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভাজন ও কোন্দল ভুলে গিয়ে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল — এখানে মতভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।

আলোচনা সভায় প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠপুত্র খোন্দকার আকতার হামিদ পবনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের দুই কন্যা কণ্ঠশিল্পী ডা. খোন্দকার আকতারা খাতুন লুনা ও ডা. দেলায়ারা বেগম পান্না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টার, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম কুন্টু, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম বিল্টু, মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইউনুস, বাঁচামারা কলেজের প্রিন্সিপাল রোকনউদ্দিন প্রমুখ।