ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়া যখন ডাক্তার,আসেন না পরিদর্শক

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:১০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ-

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ফতেপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় ৪৮টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সুচিকিৎসার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে সচেতন মহল চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।সাবেক চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত উপজেলার হাওর বেষ্টিত ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই স্বাস্ব্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি রয়েছে। ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৪৮ টি গ্রামে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস।

এমন পরিস্থিতিতে সচেতন মহল সুচিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অথচ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
একজন সেকমো (সাব এসিন্ডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার), ভিজিটর ও পরিছন্নতা কর্মী (আয়া) পদ রয়েছে।কিন্তু আয়া ছাড়া আর কেউই নেই।পরিছন্নতা কর্মী মনি তালুকদার জানান, আমি দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দেখা শুনা ও পরিষ্কার পরিছন্ন রাখি। পাশাপাশি ডাক্তার ভিজিটর না থাকায় যতটুকু পারি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। আপনি কিভাবে চিকিৎসা দেন আপনারা তো আর ডাক্তার না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভিজিটরের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা দেন তিনি।’শালিমা আক্তার জানান, বাংলাদেশ কেয়ার থেকে ডেলিভারি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই আয়া।সেই প্রশিক্ষণ তিনি এখানে ভিজিটর না থাকায় কাজে লাগাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শুপ্রভা দাস, মালতি রানী দাস, সুরবাল দাস জানান, ‘আমরা ভাটি এলাকার মানুষ সারা বছরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকি উপজেলার সঙ্গে। বর্ষায় নৌকায় চলাচল করতে হয়।
ডাক্তার ভিজিটর না থাকায় পরিছন্নতা কর্মী (আয়া) দিয়ে কি চিকিৎসা হয় সে কি কিছু জানে। তারপরও তারা যে চিকিৎসা দেয় তাই নেই। সুচিকিৎসা তো পাই না ডেলিভারি করানো হয় না। আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি যেন দেখার মতো কেউ নেইইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনতুস দাশ জানান, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও ভিজিটর যদি না থাকে, তাহলে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন দিয়ে কী হবে। মানুষের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে আর সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করছি।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জানান, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামের শিশু, গর্ভবতি নারী ও বৃদ্ধ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে।স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়া যখন ডাক্তার,আসেন না পরিদর্শক

কিন্তু চিকিৎসক ও ভিজিটর না থাকায় সুচিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । একজন ভিজিটর না থাকায় এখানে ডেলিভারী যেমন হচ্ছে না, তেমনি ডাক্তার না থাকায় সুচিকিৎসা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে জনবল দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তবে তিনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। আর পরিছন্নতাকর্মী চিকিৎসা দিচ্ছেন বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়া যখন ডাক্তার,আসেন না পরিদর্শক

আপডেট সময় ০১:১০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
অনলাইন নিউজ-

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ফতেপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় ৪৮টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সুচিকিৎসার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে সচেতন মহল চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।সাবেক চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত উপজেলার হাওর বেষ্টিত ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই স্বাস্ব্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি রয়েছে। ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৪৮ টি গ্রামে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস।

এমন পরিস্থিতিতে সচেতন মহল সুচিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অথচ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
একজন সেকমো (সাব এসিন্ডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার), ভিজিটর ও পরিছন্নতা কর্মী (আয়া) পদ রয়েছে।কিন্তু আয়া ছাড়া আর কেউই নেই।পরিছন্নতা কর্মী মনি তালুকদার জানান, আমি দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দেখা শুনা ও পরিষ্কার পরিছন্ন রাখি। পাশাপাশি ডাক্তার ভিজিটর না থাকায় যতটুকু পারি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। আপনি কিভাবে চিকিৎসা দেন আপনারা তো আর ডাক্তার না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভিজিটরের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা দেন তিনি।’শালিমা আক্তার জানান, বাংলাদেশ কেয়ার থেকে ডেলিভারি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই আয়া।সেই প্রশিক্ষণ তিনি এখানে ভিজিটর না থাকায় কাজে লাগাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শুপ্রভা দাস, মালতি রানী দাস, সুরবাল দাস জানান, ‘আমরা ভাটি এলাকার মানুষ সারা বছরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকি উপজেলার সঙ্গে। বর্ষায় নৌকায় চলাচল করতে হয়।
ডাক্তার ভিজিটর না থাকায় পরিছন্নতা কর্মী (আয়া) দিয়ে কি চিকিৎসা হয় সে কি কিছু জানে। তারপরও তারা যে চিকিৎসা দেয় তাই নেই। সুচিকিৎসা তো পাই না ডেলিভারি করানো হয় না। আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি যেন দেখার মতো কেউ নেইইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনতুস দাশ জানান, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও ভিজিটর যদি না থাকে, তাহলে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন দিয়ে কী হবে। মানুষের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে আর সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করছি।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জানান, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামের শিশু, গর্ভবতি নারী ও বৃদ্ধ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে।স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়া যখন ডাক্তার,আসেন না পরিদর্শক

কিন্তু চিকিৎসক ও ভিজিটর না থাকায় সুচিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । একজন ভিজিটর না থাকায় এখানে ডেলিভারী যেমন হচ্ছে না, তেমনি ডাক্তার না থাকায় সুচিকিৎসা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে জনবল দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তবে তিনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। আর পরিছন্নতাকর্মী চিকিৎসা দিচ্ছেন বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।