ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

হাসিনা হিটলারকেও হার মানিয়েছিল বললেন মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনা ছিল একজন কুৎসিত স্বৈরাচার, যে হিটলারকেও হার মানিয়েছিল।

আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকার এফডিসিতে ক্ষমতার পালাবদলে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গত ১৫ বছর তারা যে নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই। এটা দগদগে ঘায়ের মতো এমনভাবে খোঁচায়, যা স্মৃতিতে আসবেই। শেখ হাসিনা ছিল একজন কুৎসিত স্বৈরাচার, যে হিটলারকেও হার মানিয়েছিল। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে কেউ আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চাইলে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ আর কখনো সুস্থ ন্যারেটিভ নিয়ে মানুষের সামনে ফিরে আসতে পারবে না। জুলাইয়ের চেতনা আমাদের হৃদয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, যা আরও বহুদিন মশালের মতো জ্বলবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রায় সব নেতাই পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভোটে অংশগ্রহণ করা থাক দূরের কথা, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ গত ১৫ বছরে গুম, খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি, অর্থপাচার, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায়সহ নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলে মনে হয়। কারণ শেখ হাসিনাসহ তার অনুসারীদের বিচারে শাস্তি হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছিল, তা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতি এখন তার অংশগ্রহণ দেখতে চায়। আমরা আশা করি খালেদা জিয়া যে কয়টি আসন থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হোন না কেন প্রত্যেকটি আসনেই পূর্বের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়। দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে যিনি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, সেই বিচারপতি খায়রুল হকের কোনো বিচারই দেশবাসী দেখতে পেল না। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দেয়ার খলনায়ক খায়রুল হক কখন কীভাবে দেশ ছেড়ে পালাল, তা অজানা রয়ে গেল! নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে অবৈধভাবে টিকিয়ে রাখার মহা-অপরাধী খায়রুল হকের বিচার ও ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার এখন সময়ের দাবি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘তরুণ ভোটাররাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক কাজী জেবেল, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন, সাংবাদিক সাইদুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনা হিটলারকেও হার মানিয়েছিল বললেন মান্না

আপডেট সময় ০৪:১৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনা ছিল একজন কুৎসিত স্বৈরাচার, যে হিটলারকেও হার মানিয়েছিল।

আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকার এফডিসিতে ক্ষমতার পালাবদলে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গত ১৫ বছর তারা যে নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই। এটা দগদগে ঘায়ের মতো এমনভাবে খোঁচায়, যা স্মৃতিতে আসবেই। শেখ হাসিনা ছিল একজন কুৎসিত স্বৈরাচার, যে হিটলারকেও হার মানিয়েছিল। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে কেউ আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চাইলে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ আর কখনো সুস্থ ন্যারেটিভ নিয়ে মানুষের সামনে ফিরে আসতে পারবে না। জুলাইয়ের চেতনা আমাদের হৃদয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, যা আরও বহুদিন মশালের মতো জ্বলবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রায় সব নেতাই পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভোটে অংশগ্রহণ করা থাক দূরের কথা, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ গত ১৫ বছরে গুম, খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি, অর্থপাচার, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি, অনিয়ম, অন্যায়সহ নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলে মনে হয়। কারণ শেখ হাসিনাসহ তার অনুসারীদের বিচারে শাস্তি হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছিল, তা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতি এখন তার অংশগ্রহণ দেখতে চায়। আমরা আশা করি খালেদা জিয়া যে কয়টি আসন থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হোন না কেন প্রত্যেকটি আসনেই পূর্বের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়। দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে যিনি নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, সেই বিচারপতি খায়রুল হকের কোনো বিচারই দেশবাসী দেখতে পেল না। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দেয়ার খলনায়ক খায়রুল হক কখন কীভাবে দেশ ছেড়ে পালাল, তা অজানা রয়ে গেল! নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে অবৈধভাবে টিকিয়ে রাখার মহা-অপরাধী খায়রুল হকের বিচার ও ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার এখন সময়ের দাবি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘তরুণ ভোটাররাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক কাজী জেবেল, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন, সাংবাদিক সাইদুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।