ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বললেন প্রধান উপদেষ্টা ভারতীয় আধিপত্য বিরোধীদের ভয় দেখাতেই হাদির ওপর হামলা বললেন সারজিস আলম ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, হাদির ব্রেন স্টেম ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ওসমান হাদির ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট তিন উপদেষ্টা হাসপাতালে ওসমান হাদিকে দেখতে সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা–কর্মচারীর পাঁচ দিনের রিমান্ড সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জুবাইদা রহমান হাসপাতালে হাদির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন হাদির ওপর কাপুরুষচিত হামলার ঘটনায় ব্লেম গেম নয়, সরকারকে সহযোগিতা জরুরি বললেন মুশফিকুল ফজল ওসমান হাদির ভাইয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ফোনে কথা বলেছেন , সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা পর ফার্মগেটের সড়ক ছাড়লেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৪ সন্তান নিয়ে বিধবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

৪ সন্তান নিয়ে বিধবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
খন্দকার আব্দুল আলীম, শেরপুর প্রতিনিধি:তিন মাস আগে হাঁপানি রোগে মারা গেছে স্বামী মাহবুবুর রহমান রুবেল (৪৫)। স্ত্রী নাজিরার কাছে রেখে গেছে নাবালক ৪ সন্তান। এই সন্তানদের নিয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নাজিরার। সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এই বিধবা। আগে ঢাকাতে থাকলেও স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার বেনীরগোপে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। এখানেই মারা যায় স্বামী। তবে রুবেলের জীবদ্দশায় গ্রামে করতে পারেন নাই থাকার মতো একটি ঘর। ভাঙ্গা ঘরে বর্তমানে কোনোরকম দিন কাটলেও বর্ষা মৌসুমে এই ঘরে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়বে। ঘরের একাধিক যায়গায় ভেঙে আছে। শক্ত ঝড়ে উড়িয়ে নিতেও পারে ঘরটি। তখন এতিম সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবে এই বিধবা? হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে (১৪) দিয়েছিলেন মাদ্রাসায়। ১৪ পারা কোরআন মুখস্থও করেছে। বাবার মৃত্যুর পর একদিকে মানসিক চাপ অন্যদিকে আর্থিক অনটনে নিভে যেতে পারে কোরআনের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন। নোমানের ছোট ইমরানকেও (৮) দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসায়। শেরপুর তেরা বাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসাতেই অধ্যায়নরত রয়েছে ।
এই দুই ভাই। ৩ বছর বয়সী উসমান ও ৫ বছর বয়সী মুনতাহা বার বার খোঁজেন বাবাকে। কিন্তু এই মাসুম বাচ্চাদের কে বুজাবে তাদের বাবা আর ফিরবে না। অনেক উৎসব সামনে আসলেও তাদের মাঝে নেই কোন আনন্দ।
নাজিরা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমি গ্রামের বাড়িতে থাকছি। এখানে থাকার মতো একটি ঘর আমার নেই। ভাঙ্গা ঘরে সন্তানদের নিয়ে এখন থাকতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে থাকার উপায় নেই। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,বাবা তো মারা গেছে। এখন আমাদের কি হবে? না আছে থাকার মতো ঘর আর না আছে ঘর দেওয়ার সামর্থ্য।

কালবৈশ�

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বললেন প্রধান উপদেষ্টা

৪ সন্তান নিয়ে বিধবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় ০৮:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

৪ সন্তান নিয়ে বিধবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
খন্দকার আব্দুল আলীম, শেরপুর প্রতিনিধি:তিন মাস আগে হাঁপানি রোগে মারা গেছে স্বামী মাহবুবুর রহমান রুবেল (৪৫)। স্ত্রী নাজিরার কাছে রেখে গেছে নাবালক ৪ সন্তান। এই সন্তানদের নিয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নাজিরার। সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এই বিধবা। আগে ঢাকাতে থাকলেও স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার বেনীরগোপে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। এখানেই মারা যায় স্বামী। তবে রুবেলের জীবদ্দশায় গ্রামে করতে পারেন নাই থাকার মতো একটি ঘর। ভাঙ্গা ঘরে বর্তমানে কোনোরকম দিন কাটলেও বর্ষা মৌসুমে এই ঘরে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়বে। ঘরের একাধিক যায়গায় ভেঙে আছে। শক্ত ঝড়ে উড়িয়ে নিতেও পারে ঘরটি। তখন এতিম সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবে এই বিধবা? হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে (১৪) দিয়েছিলেন মাদ্রাসায়। ১৪ পারা কোরআন মুখস্থও করেছে। বাবার মৃত্যুর পর একদিকে মানসিক চাপ অন্যদিকে আর্থিক অনটনে নিভে যেতে পারে কোরআনের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন। নোমানের ছোট ইমরানকেও (৮) দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসায়। শেরপুর তেরা বাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসাতেই অধ্যায়নরত রয়েছে ।
এই দুই ভাই। ৩ বছর বয়সী উসমান ও ৫ বছর বয়সী মুনতাহা বার বার খোঁজেন বাবাকে। কিন্তু এই মাসুম বাচ্চাদের কে বুজাবে তাদের বাবা আর ফিরবে না। অনেক উৎসব সামনে আসলেও তাদের মাঝে নেই কোন আনন্দ।
নাজিরা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমি গ্রামের বাড়িতে থাকছি। এখানে থাকার মতো একটি ঘর আমার নেই। ভাঙ্গা ঘরে সন্তানদের নিয়ে এখন থাকতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে থাকার উপায় নেই। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,বাবা তো মারা গেছে। এখন আমাদের কি হবে? না আছে থাকার মতো ঘর আর না আছে ঘর দেওয়ার সামর্থ্য।

কালবৈশ�