ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই রেবেলস সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ উত্তরায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আর দেরি করা উচিত নয় বললেন চীনের রাষ্ট্রদূত বিকেলে জরুরি বৈঠক ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাদির কেস সামারি থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে হাদির মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা, অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন চিকিৎসক ‘হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে পালিয়েছে’— এমন তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বললেন ডিএমপি দেশকে নেতৃত্বহীন করতে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদের লক্ষ্যবস্তু করছে বললেন আসিফ মাহমুদ হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার বললেন রিজওয়ানা অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: তিনজন গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে প্রধান বিচারপতি বিকালে বিদায়ী ভাষণ দিবেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

খালেদা জিয়া দেশত্যাগ নয়, আপসহীনতা বেছে নেন

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ১২:০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

চার দেয়ালের মাঝ থেকে বেরিয়ে বিএনপির মত বড় দলের অভিযাত্রায় জেল, জুলুম, চিকিৎসাহীনতা সহ্য করে তিনি আপোষহীন নেত্রীর তকমা পেয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা। ঠিক এ সময়ই বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব নেন। ১৯৮১ সাল থেকে একদিকে দল গোছানো অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দেন।  

সে সময়ের সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যুগপথ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চার যে পথ সৃষ্টি করেছিলেন জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া সেই পথ ধরেই এগিয়ে নেন বিএনপিকে। তার নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ১৯৯০ সালে পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয়ী হয় এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজনীতিবিদরা জানান, রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেননি। কোনো ভয় বা লোভের কাছে মাথা নিচু করেননি। শত অত্যাচারেও তিনি মাতৃভূমি ছেড়ে যাননি। গণতন্ত্র ও ইসালামী মূল্যবোধের প্রশ্নেও বারবার তিনি নিজেকে দৃঢ় প্রমাণ করেছেন।

আইনজীবীরা জানান, এক-এগারো সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা গতি পায় ২০১৪ সাল থেকে। যখন ক্ষমতায় আজকের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর জেরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান। উচ্চ আদালতে সেই সাজা বেড়ে হয়েছিল ১০ বছর। যা ছিল কেবলই শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি একাধিক মারফতে বিভিন্ন প্রস্তাবও এসেছিল। রাজনীতি ছেড়ে দিলে বা বিদেশে চলে গেলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না। তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল মিথ্যা-বানোয়াট মামলায়। তাকে শাস্তি দিলেও তিনি মাথানত করবেন না বলে সে সময় মন্তব্য করেছিলেন খালেদা জিয়া, এমনটাই জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল বন্দি করতে পারা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে অন্তরীণ করা। তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পায়তাড়া ছিল এটি।

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারি চলাকালীন ২০২১ সালের ২৫ মার্চ, ৩ বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর নির্বাহী আদেশে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতাল থেকে বাসা আর বাসা থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে প্রায় চার বছর। গত বছরের আগস্টে অঅওয়ামী সরকার সরকার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের শুরুর দিনই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে কথা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা পূর্ণাঙ্গভাবে বাতিল হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই রেবেলস সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ উত্তরায়

খালেদা জিয়া দেশত্যাগ নয়, আপসহীনতা বেছে নেন

আপডেট সময় ১২:০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চার দেয়ালের মাঝ থেকে বেরিয়ে বিএনপির মত বড় দলের অভিযাত্রায় জেল, জুলুম, চিকিৎসাহীনতা সহ্য করে তিনি আপোষহীন নেত্রীর তকমা পেয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা। ঠিক এ সময়ই বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব নেন। ১৯৮১ সাল থেকে একদিকে দল গোছানো অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দেন।  

সে সময়ের সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যুগপথ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চার যে পথ সৃষ্টি করেছিলেন জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া সেই পথ ধরেই এগিয়ে নেন বিএনপিকে। তার নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ১৯৯০ সালে পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয়ী হয় এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজনীতিবিদরা জানান, রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেননি। কোনো ভয় বা লোভের কাছে মাথা নিচু করেননি। শত অত্যাচারেও তিনি মাতৃভূমি ছেড়ে যাননি। গণতন্ত্র ও ইসালামী মূল্যবোধের প্রশ্নেও বারবার তিনি নিজেকে দৃঢ় প্রমাণ করেছেন।

আইনজীবীরা জানান, এক-এগারো সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা গতি পায় ২০১৪ সাল থেকে। যখন ক্ষমতায় আজকের পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর জেরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান। উচ্চ আদালতে সেই সাজা বেড়ে হয়েছিল ১০ বছর। যা ছিল কেবলই শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি একাধিক মারফতে বিভিন্ন প্রস্তাবও এসেছিল। রাজনীতি ছেড়ে দিলে বা বিদেশে চলে গেলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না। তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল মিথ্যা-বানোয়াট মামলায়। তাকে শাস্তি দিলেও তিনি মাথানত করবেন না বলে সে সময় মন্তব্য করেছিলেন খালেদা জিয়া, এমনটাই জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল বন্দি করতে পারা ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে অন্তরীণ করা। তাকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পায়তাড়া ছিল এটি।

উল্লেখ্য, কোভিড মহামারি চলাকালীন ২০২১ সালের ২৫ মার্চ, ৩ বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর নির্বাহী আদেশে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতাল থেকে বাসা আর বাসা থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে প্রায় চার বছর। গত বছরের আগস্টে অঅওয়ামী সরকার সরকার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের শুরুর দিনই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে কথা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা পূর্ণাঙ্গভাবে বাতিল হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।