অনলাইন নিউজ-
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ডায়বেটিস একটি আতংকের নাম। এই রোগে আক্রান্ত নানা বয়সী মানুষ। অনেকটা অজ্ঞতা বসত কারনে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেশের ৫৫% মানুষ সংক্রমিত।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা খাবার নিয়ে অনেক ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন। ডায়াবেটিস কখনো সারে না। প্রথমেই এই সত্য মেনে নিতে হবে। ডায়াবেটিস নিরাময়ের আশায় অনেকে সজনেপাতাসহ নানা হারবাল বা কবিরাজি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বরং এসব খেয়ে কিডনি, যকৃত ইত্যাদির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সুতরাং চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট না করে এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে বের হয়ে আসার মহাঔষুধ হচ্ছে সহজপ্রাপ্য একটি সবজী। এই সবজী গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ব্যাপক ফলন। ‘‘কচু’’ এই কচুতে রয়েছে ডায়েবেটিস আয়ত্তে আনার যুগান্তকারী মহাঔষুধ।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে কচু খুবই পরিচিত একটি সবজি। দামে বেশ সস্তা হওয়ায় এটি খুব জনপ্রিয় সবজি। এ ছাড়াও কচুতে আছে নানারকম ভিটামিন, যা অন্ত:সত্ত্বা মা ও শিশুর জন্য দারুণ উপকারী। এর মধ্যে আছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। রক্তের কোলেস্টেরল কমাতেও কচু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কথায় বলে, কচুর কোনও অংশই ফেলনা নয়। কচুর মূল থেকে শুরু করে তার কাণ্ড, পাতা, ফুল, লতি পুরোটাই খুবই উপকারি। হার্ট থেকে শুরু করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কচু উপকারি।
জেনে নিন কচুর উপকারগুলো- হার্ট ভালো রাখে- কচু খেলে হার্ট ভালো থাকে। কচুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, রেজিসটেন্স স্টার্চ। এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
ব্লাড সুগারে উপকারি- কচুর মূল ব্লাড সুগারের সমস্যার সমাধানে খুবই উপকারি। গ্লাইসেমিক লেভেল নিয়ন্ত্রণে কচুর প্রবল গুরুত্ব রয়েছে। কচুর মূল খেলে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যানসার নিধনে- কচুতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যেতে থাকে। ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব়্য়াডিক্যালস কমিয়ে দেয়।
হজমে সুবিধা- কচু খেলে সুবিধা হয় হজমে। এতে থাকে ডায়েটারি ফাইবার। এতে গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।ওজন কমাতে কচু- এছাড়াও ওজন কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে কচু। এটি অল্প খেলেই পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে খাওয়ার ইচ্ছা সেভাবে আর থাকে না। আর তাই ওজন কমতে সাহায্য করে।
সুতরাং অজ্ঞতা থেকে বের হয়ে রোগ সম্পর্কে জানতে হবে। ডায়েবেটিস কি? খাদ্যভাসের মাধ্যমে আয়ত্তে আনা সহজলভ্য।