ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জাতীয় পার্টির সম্মেলন ৯ মার্চ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংবাদ: ৯ মার্চের সম্মেলন হবে একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূচনা হবে। জাতীয় পার্টিকে আবার আমরা সুসংগঠিত করে রক্ষা করতে পারব।

সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলের দুই কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন, দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও শফিকুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চারজনই ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন।

অন্যদিকে, রওশনের ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রওশন এরশাদ নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করে সম্মেলন আহ্বান করেন। এর মধ্য দিয়ে দলে আরেক দফা বিভক্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পৃথক সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত দল বিভক্তির দিকে গেলেও রওশন এরশাদের ব্যাপারে জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব নমনীয় থাকবে।

এ বিষয়ে গতকাল প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা শেষে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের (জাপা) সম্পর্ক স্পর্শকাতর। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলের দুই কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেনকে বহিষ্কার করার কারণও ব্যাখ্যা করেন।

মুজিবুল হক বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় মিটিং হয়েছিল। তাই কাজী ফিরোজ রশীদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

অবশ্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাসায় মিটিং তো নতুন কিছু না। আর ওই মিটিংয়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকে তো এখনো দলে আছেন। এমনিতেই দল ছোট হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের অনুকম্পা নিয়ে ১১ জন সংসদ সদস্য হয়েছেন। এভাবে দল টেকানো কঠিন।

এদিকে গত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হকের নির্দেশ ও আহ্বান ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিবদের ডাকে এবং জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো সম্মেলন, সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির সম্মেলন ৯ মার্চ

আপডেট সময় ১১:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

অনলাইন সংবাদ: ৯ মার্চের সম্মেলন হবে একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূচনা হবে। জাতীয় পার্টিকে আবার আমরা সুসংগঠিত করে রক্ষা করতে পারব।

সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলের দুই কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন, দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও শফিকুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চারজনই ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন।

অন্যদিকে, রওশনের ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রওশন এরশাদ নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করে সম্মেলন আহ্বান করেন। এর মধ্য দিয়ে দলে আরেক দফা বিভক্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পৃথক সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত দল বিভক্তির দিকে গেলেও রওশন এরশাদের ব্যাপারে জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব নমনীয় থাকবে।

এ বিষয়ে গতকাল প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা শেষে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের (জাপা) সম্পর্ক স্পর্শকাতর। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলের দুই কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেনকে বহিষ্কার করার কারণও ব্যাখ্যা করেন।

মুজিবুল হক বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় মিটিং হয়েছিল। তাই কাজী ফিরোজ রশীদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

অবশ্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাসায় মিটিং তো নতুন কিছু না। আর ওই মিটিংয়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকে তো এখনো দলে আছেন। এমনিতেই দল ছোট হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের অনুকম্পা নিয়ে ১১ জন সংসদ সদস্য হয়েছেন। এভাবে দল টেকানো কঠিন।

এদিকে গত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হকের নির্দেশ ও আহ্বান ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিবদের ডাকে এবং জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো সম্মেলন, সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।