ময়মনসিংহ , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

অভিনেতা জাভেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ১০:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন জগতের ঢালিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অনেক দিন ধরে তিনি ক্যানসারসহ নানা রকম অসুখে ভুগছেন। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান।

সনি রহমান বলেন, অভিনেতা জাভেদ ভাই ক্যানসারে আক্রান্ত। এ ছাড়া নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। আজ (বুধবার) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে উনার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। এদিকে অভিনেতা জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ তার স্বামীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

১৯৬৩ সালে ঢাকার চলচ্চিত্রে নৃত্যপরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্যপরিচালনা ছিল ১৯৬৪ সালে কায়সার পাশার পরিচালনায় উর্দু সিনেমা ‘মালান’। আর এ বছরই উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘নয়ি জিন্দেগি’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক সিনেমায়। তার অনেক কাজের মধ্যে ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’, এবং ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ চলচ্চিত্রের জন্য বেশি পরিচিত। তার অভিনয় জীবনের সেরা সাফল্য আসে ‘নিশান’ সিনেমায় অভিনয় করে। সমসাময়িক অনেক নায়িকার সঙ্গেই তিনি জুটি হয়ে কাজ করেছেন। তবে অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে তার জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট।

উর্দু সিনেমা ‘মালান’-এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৬৭ সালে ‘পুনম কি রাত’ উর্দু সিনেমায় আবার নৃত্যপরিচালনা করেন তিনি। তবে এরপর আর থেমে থাকেননি— সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সিনেমায় নিয়মিত নৃত্যপরিচালনা করেন। সে ক্ষেত্রে তিনি তখন ইলিয়াস নামেই নৃত্যপরিচালনা করতেন।

উল্লেখ্য, ঘটনা ১৯৪৬ সাল। ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন ইলিয়াস জাভেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নৃত্যচর্চার ওপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা জাভেদ শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বেশিরভাগ সময়ই তিনি সিনেমা দেখা আর গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আর এসব নিয়ে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে থাকলে তিনি তার বাবা-মাকে না জানিয়েই জন্মস্থান গুজরাট ছেড়ে চলে আসেন সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

আশির দশকে জাভেদ ভালোবেসে বিয়ে করেন নায়িকা ডলিকে। দুজনে মিলে রাজধানীর উত্তরায় বাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিনেতা জাভেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট সময় ১০:৩২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদন জগতের ঢালিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অনেক দিন ধরে তিনি ক্যানসারসহ নানা রকম অসুখে ভুগছেন। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান।

সনি রহমান বলেন, অভিনেতা জাভেদ ভাই ক্যানসারে আক্রান্ত। এ ছাড়া নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি। আজ (বুধবার) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে উনার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। এদিকে অভিনেতা জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ তার স্বামীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

১৯৬৩ সালে ঢাকার চলচ্চিত্রে নৃত্যপরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্যপরিচালনা ছিল ১৯৬৪ সালে কায়সার পাশার পরিচালনায় উর্দু সিনেমা ‘মালান’। আর এ বছরই উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘নয়ি জিন্দেগি’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। নায়ক হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শতাধিক সিনেমায়। তার অনেক কাজের মধ্যে ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অন্ধ প্রেম’, এবং ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ চলচ্চিত্রের জন্য বেশি পরিচিত। তার অভিনয় জীবনের সেরা সাফল্য আসে ‘নিশান’ সিনেমায় অভিনয় করে। সমসাময়িক অনেক নায়িকার সঙ্গেই তিনি জুটি হয়ে কাজ করেছেন। তবে অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে তার জুটি ছিল সুপার ডুপার হিট।

উর্দু সিনেমা ‘মালান’-এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৬৭ সালে ‘পুনম কি রাত’ উর্দু সিনেমায় আবার নৃত্যপরিচালনা করেন তিনি। তবে এরপর আর থেমে থাকেননি— সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত প্রায় শতাধিক সিনেমায় নিয়মিত নৃত্যপরিচালনা করেন। সে ক্ষেত্রে তিনি তখন ইলিয়াস নামেই নৃত্যপরিচালনা করতেন।

উল্লেখ্য, ঘটনা ১৯৪৬ সাল। ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন ইলিয়াস জাভেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নৃত্যচর্চার ওপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা জাভেদ শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বেশিরভাগ সময়ই তিনি সিনেমা দেখা আর গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আর এসব নিয়ে পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে থাকলে তিনি তার বাবা-মাকে না জানিয়েই জন্মস্থান গুজরাট ছেড়ে চলে আসেন সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ঢাকায়।

আশির দশকে জাভেদ ভালোবেসে বিয়ে করেন নায়িকা ডলিকে। দুজনে মিলে রাজধানীর উত্তরায় বাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে।