৪ সন্তান নিয়ে বিধবার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
খন্দকার আব্দুল আলীম, শেরপুর প্রতিনিধি:তিন মাস আগে হাঁপানি রোগে মারা গেছে স্বামী মাহবুবুর রহমান রুবেল (৪৫)। স্ত্রী নাজিরার কাছে রেখে গেছে নাবালক ৪ সন্তান। এই সন্তানদের নিয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নাজিরার। সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এই বিধবা। আগে ঢাকাতে থাকলেও স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার বেনীরগোপে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। এখানেই মারা যায় স্বামী। তবে রুবেলের জীবদ্দশায় গ্রামে করতে পারেন নাই থাকার মতো একটি ঘর। ভাঙ্গা ঘরে বর্তমানে কোনোরকম দিন কাটলেও বর্ষা মৌসুমে এই ঘরে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়বে। ঘরের একাধিক যায়গায় ভেঙে আছে। শক্ত ঝড়ে উড়িয়ে নিতেও পারে ঘরটি। তখন এতিম সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবে এই বিধবা? হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে (১৪) দিয়েছিলেন মাদ্রাসায়। ১৪ পারা কোরআন মুখস্থও করেছে। বাবার মৃত্যুর পর একদিকে মানসিক চাপ অন্যদিকে আর্থিক অনটনে নিভে যেতে পারে কোরআনের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন। নোমানের ছোট ইমরানকেও (৮) দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসায়। শেরপুর তেরা বাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসাতেই অধ্যায়নরত রয়েছে ।
এই দুই ভাই। ৩ বছর বয়সী উসমান ও ৫ বছর বয়সী মুনতাহা বার বার খোঁজেন বাবাকে। কিন্তু এই মাসুম বাচ্চাদের কে বুজাবে তাদের বাবা আর ফিরবে না। অনেক উৎসব সামনে আসলেও তাদের মাঝে নেই কোন আনন্দ।
নাজিরা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমি গ্রামের বাড়িতে থাকছি। এখানে থাকার মতো একটি ঘর আমার নেই। ভাঙ্গা ঘরে সন্তানদের নিয়ে এখন থাকতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে থাকার উপায় নেই। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,বাবা তো মারা গেছে। এখন আমাদের কি হবে? না আছে থাকার মতো ঘর আর না আছে ঘর দেওয়ার সামর্থ্য।
কালবৈশ�