ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নতুন নির্দেশনা ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগে উন্নতি হবে বললেন সিইসি ‘মানুষ যেমন কবর থেকে ফেরে না, শেখ হাসিনাও রাজনীতিতে ফিরবে না’:মামুনুল হক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন শাহবাগে , নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ীর বুকে ছুরি মেরে ফোন নিয়ে গেল রোনালদো-জর্জিনা আগামী বছরেই বিয়ে করছেন গরু ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় তিন ডাকাত গ্রেপ্তার মাদারীপুরে ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য উপহার পাঠালেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কাওকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না বললেন সিইসি
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

আজহারের পক্ষে শুনানির আবেদন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে। কিন্তু বেঞ্চে একজন বিচারপতি অনুপস্থিত থাকায় শুনানি পেছানো হয়। পরে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে মঙ্গলবার শুনানির সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন আজহার।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ১,২৫৬ জনকে হত্যা বা গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং অসংখ্য বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন।

তবে জামায়াতে ইসলামী এ রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ওই সময় আপিল বিভাগে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল এবং ২,৩৪০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্টস দাখিল করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন নির্দেশনা ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে

নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার

আপডেট সময় ১১:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

আজহারের পক্ষে শুনানির আবেদন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে। কিন্তু বেঞ্চে একজন বিচারপতি অনুপস্থিত থাকায় শুনানি পেছানো হয়। পরে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে মঙ্গলবার শুনানির সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন আজহার।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ১,২৫৬ জনকে হত্যা বা গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং অসংখ্য বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন।

তবে জামায়াতে ইসলামী এ রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ওই সময় আপিল বিভাগে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল এবং ২,৩৪০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্টস দাখিল করা হয়।