ময়মনসিংহ , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শিশুর আকিকা দেওয়া নিয়ে যা:শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইসলামে আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলেও, তা না দিলে শিশুর কোনো বিপদ হবে—এমন কোনো কথা কোরআন বা হাদিসে নেই।

এক বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা না দিলে শিশুর বিপদ কাটবে না—এমন ধারণা ইসলামি দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন। তবে, আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এটি সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, নবী করিম (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী, ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করা হয়ে থাকে। এটি নবীজির সুন্নাহ এবং মুসলমানদের উচিত তা পালন করা।

আকিকার সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, “সন্তানের জন্মের ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। তা সম্ভব না হলে ১৪তম বা ২১তম দিনেও করা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত দিনে না হয়, তাহলে পরেও যে কোনো সময়ে আকিকা করা যায়।” এমনকি কেউ যদি ছোটবেলায় আকিকা না পায়, বড় হয়ে নিজের পক্ষ থেকেও আকিকা দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “আকিকা না দিলে সন্তান বিপদের মধ্যে থাকবে—এমন কথা কোনো সহিহ হাদিসে নেই। তবে কিছু হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বাচ্চা আকিকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।” অর্থাৎ, এটি একটি কল্যাণময় আমল, তবে ফরজ নয়।

শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা দিলে সন্তান নানাভাবে উপকৃত হয়, রক্ষা পায় এবং নিরাপদে থাকে। তাই ইসলামী দৃষ্টিতে এটি পালন করা উচিত।”

এই বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে, আকিকা হলো সুন্নাহ এবং কল্যাণকর, কিন্তু তা না দিলে কোনো অশুভ ফল বা বিপদের নিশ্চয়তা নেই।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

শিশুর আকিকা দেওয়া নিয়ে যা:শায়খ আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, ইসলামে আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলেও, তা না দিলে শিশুর কোনো বিপদ হবে—এমন কোনো কথা কোরআন বা হাদিসে নেই।

এক বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা না দিলে শিশুর বিপদ কাটবে না—এমন ধারণা ইসলামি দৃষ্টিতে ভিত্তিহীন। তবে, আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এটি সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, নবী করিম (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী, ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবাই করা হয়ে থাকে। এটি নবীজির সুন্নাহ এবং মুসলমানদের উচিত তা পালন করা।

আকিকার সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, “সন্তানের জন্মের ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। তা সম্ভব না হলে ১৪তম বা ২১তম দিনেও করা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত দিনে না হয়, তাহলে পরেও যে কোনো সময়ে আকিকা করা যায়।” এমনকি কেউ যদি ছোটবেলায় আকিকা না পায়, বড় হয়ে নিজের পক্ষ থেকেও আকিকা দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, “আকিকা না দিলে সন্তান বিপদের মধ্যে থাকবে—এমন কথা কোনো সহিহ হাদিসে নেই। তবে কিছু হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, বাচ্চা আকিকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।” অর্থাৎ, এটি একটি কল্যাণময় আমল, তবে ফরজ নয়।

শেষে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “আকিকা দিলে সন্তান নানাভাবে উপকৃত হয়, রক্ষা পায় এবং নিরাপদে থাকে। তাই ইসলামী দৃষ্টিতে এটি পালন করা উচিত।”

এই বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে, আকিকা হলো সুন্নাহ এবং কল্যাণকর, কিন্তু তা না দিলে কোনো অশুভ ফল বা বিপদের নিশ্চয়তা নেই।