ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিএনপি অফিসে অভিনেত্রী রিনা খান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

ঢালিউডের প্রভাবশালী জনপ্রিয় খল-অভিনেত্রী রিনা খান। নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। সম্প্রতি এ অভিনেত্রীকে দেখা গেছে বিএনপি অফিসে। আর কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা পরিষ্কার করেছেন এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) তিনি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তায় বিস্তারিত কথা বলেন।

জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সোহাগ মিলন’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমাজগতে অভিষেক ঘটে। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেছেন। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি সিনেমা থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন। অনেকটা বলা যায়, আওয়ামী সরকারের যাঁতাকলে পিষ্ট ছিলেন এ অভিনেত্রী।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওবার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রিনা খান বলেন, আমি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন-জিসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজ আমার এ অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাত চেয়েছি, পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো দিন আমাদের ওপর এবং কারও ওপর যেন জুলুম করতে না পারে, আমরা সেটিই কামনা করি। আজ আমি খুবই খুশি। খুশিতে আমার কান্না চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমি অভিনেত্রী সেলিনা সুলতানা রিনা খান। আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা। আমি বিএনপি করি বিধায় আমার ছেলে ২০০৯ সালে জার্মান গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। আমার ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগেছিল। আমিও ঘরে থাকতে পারতাম না।

রিনা খান বলেন, আমি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারি না। এমনকি বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হতো না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পর আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।

তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের মামলাটা নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সাহেব আছেন, উনি আমাদের মুরব্বি, আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। যারা বিএনপির রয়েছে, তারা সবাই আমাকে অনেক সহায়তা করছেন।

রিনা খান বলেন, আজ একটা অ্যাপ্লিকেশন (আবেদন) করলাম, আমার ছেলের নামে মামলাটা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি অনেক কাজ রেখে এখানে এসেছি। স্যার আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

বিএনপি অফিসে অভিনেত্রী রিনা খান

আপডেট সময় ১১:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ঢালিউডের প্রভাবশালী জনপ্রিয় খল-অভিনেত্রী রিনা খান। নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। সম্প্রতি এ অভিনেত্রীকে দেখা গেছে বিএনপি অফিসে। আর কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা পরিষ্কার করেছেন এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) তিনি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তায় বিস্তারিত কথা বলেন।

জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সোহাগ মিলন’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমাজগতে অভিষেক ঘটে। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেছেন। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি সিনেমা থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন। অনেকটা বলা যায়, আওয়ামী সরকারের যাঁতাকলে পিষ্ট ছিলেন এ অভিনেত্রী।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওবার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রিনা খান বলেন, আমি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন-জিসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজ আমার এ অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাত চেয়েছি, পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো দিন আমাদের ওপর এবং কারও ওপর যেন জুলুম করতে না পারে, আমরা সেটিই কামনা করি। আজ আমি খুবই খুশি। খুশিতে আমার কান্না চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমি অভিনেত্রী সেলিনা সুলতানা রিনা খান। আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা। আমি বিএনপি করি বিধায় আমার ছেলে ২০০৯ সালে জার্মান গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। আমার ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগেছিল। আমিও ঘরে থাকতে পারতাম না।

রিনা খান বলেন, আমি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারি না। এমনকি বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হতো না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পর আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।

তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের মামলাটা নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সাহেব আছেন, উনি আমাদের মুরব্বি, আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। যারা বিএনপির রয়েছে, তারা সবাই আমাকে অনেক সহায়তা করছেন।

রিনা খান বলেন, আজ একটা অ্যাপ্লিকেশন (আবেদন) করলাম, আমার ছেলের নামে মামলাটা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি অনেক কাজ রেখে এখানে এসেছি। স্যার আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন।