গাজার রাফা শহরে খাদ্য সহায়তা স্থগিত করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি বলছে— গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় ঘনবসতিপূর্ণ শহর রাফায় সরবরাহের অভাব এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে খাদ্য বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে— ২৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি চালু ছিল। রাফা ও কারেম আবু সালেমে গত ১০ দিনে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ ছিল। কারণ প্রতিবন্ধকতা ছিল; রাফা ক্রসিং দিয়ে সরবরাহও পাওয়া যায়নি।
মূলত চলতি মাসের শুরুতে রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়; এতে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহ বন্ধের কারণে শুধু রাফায় নয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে। ইসরায়েলি বাহিনী রাফা ক্রসিং বন্ধ করার পরের সময়কে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা (প্রতিবেদক) দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করার বিষয়ে কথা বলছি।’
জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন ত্রাণ কর্মকর্তা এডেম ওসোর্নু নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ ও জ্বালানি নেই।
তিনি বলেন, ‘গাজায় কী ঘটছে; তা বর্ণনা করার জন্য আমাদের শব্দ ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এটিকে পৃথিবীর নরক হিসেবে, একটি বিপর্যয়, একটি দুঃস্বপ্ন হিসেবে বর্ণনা করেছি।’
তিনি বলেছিলেন, রাফা ক্রসিং বন্ধ হওয়ায় কমপক্ষে ৮২ হাজার টন সহায়তা সরবরাহ করা যায়নি। সে সময় আবু সালেম ক্রসিংয়ে প্রবেশাধিকার ‘শত্রুতা, চ্যালেঞ্জিং লজিস্টিক অবস্থা এবং জটিল সমন্বয় পদ্ধতির’ কারণে সীমিত ছিল। সূত্র: আল-জাজিরা