ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি, আমি সেই অভাগা পিতা বললেন পাইলট তৌকিরের বাবা

‘নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি, আমি সেই অভাগা পিতা। আমার সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন। দোয়া করবেন প্রাণ হারানো অন্যদের জন্যও।’ এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পাইলট তৌকির ইসলামের বাবা তহুরুল ইসলাম। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারানো ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জানাজায় তিনি এই হৃদয়বিদারক আকুতি জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে তৌকিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় জনগণ এবং সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনসহ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তৌকিরের মরদেহ ঢাকা থেকে রাজশাহী সেনানিবাসে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাসায়। সেখানেই তৌকিরের মরদেহকে এক নজর দেখতে জড়ো হন স্থানীয়রা। কিছু সময় ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সটি বাড়ির সামনে রাখা হয়। পরে জানাজার উদ্দেশ্যে মরদেহ নেওয়া হয় স্টেডিয়ামে।

তহুরুল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর আগে তার ছেলে বিয়ে করেন। পুত্রবধূ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। দম্পতির বসবাস ছিল ঢাকাতেই। সন্তান যখন প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমান এককভাবে উড়ানোর কথা জানায়, তখন পুরো পরিবার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নেয়।

ঘটনার দিন, সোমবার, তৌকির তার সলো ফ্লাইট—যা একজন বৈমানিকের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ— সম্পন্ন করতে আকাশে উড়েন। কিন্তু দুপুরের দিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর তার প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৌকিরের। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ৩২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

তৌকিরের মৃত্যুতে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি, আমি সেই অভাগা পিতা বললেন পাইলট তৌকিরের বাবা

আপডেট সময় ১০:৫৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

‘নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি, আমি সেই অভাগা পিতা। আমার সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন। দোয়া করবেন প্রাণ হারানো অন্যদের জন্যও।’ এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পাইলট তৌকির ইসলামের বাবা তহুরুল ইসলাম। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারানো ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জানাজায় তিনি এই হৃদয়বিদারক আকুতি জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে তৌকিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় জনগণ এবং সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনসহ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তৌকিরের মরদেহ ঢাকা থেকে রাজশাহী সেনানিবাসে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ভাড়া বাসায়। সেখানেই তৌকিরের মরদেহকে এক নজর দেখতে জড়ো হন স্থানীয়রা। কিছু সময় ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সটি বাড়ির সামনে রাখা হয়। পরে জানাজার উদ্দেশ্যে মরদেহ নেওয়া হয় স্টেডিয়ামে।

তহুরুল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর আগে তার ছেলে বিয়ে করেন। পুত্রবধূ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। দম্পতির বসবাস ছিল ঢাকাতেই। সন্তান যখন প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমান এককভাবে উড়ানোর কথা জানায়, তখন পুরো পরিবার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নেয়।

ঘটনার দিন, সোমবার, তৌকির তার সলো ফ্লাইট—যা একজন বৈমানিকের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ— সম্পন্ন করতে আকাশে উড়েন। কিন্তু দুপুরের দিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর তার প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৌকিরের। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ৩২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

তৌকিরের মৃত্যুতে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।