ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ঘরমুখো মানুষের চাপ মহাসড়কে বাড়ছে যানজট

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

মাটি ও মানুষ ডেস্ক-

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ঘরে ফিরতে শুরু করছে কর্মজীবী মানুষেরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসন ও যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে গাজীপুর মহানগর, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন।জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রায় ১১৭টি রুটের যানবাহন চলাচল করে। কর্মের তাগিদে উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষ গাজীপুর ও আশপাশের জেলায় বসবাস করেন। ঈদের ছুটিতে এসব অঞ্চলের মানুষ একসঙ্গে গ্রামের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেন। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে।

এতে মহাসড়কের কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের ৩ দিন বাকি থাকলেও শিল্পনগরী গাজীপুরে অনেক কারখানা আজ ছুটি হবে। অনেকে যানজটের ভয়ে আগেই স্ত্রী-সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার কারণে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।এদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে ভোগড়া থেকে টঙ্গীর কলেজগেইট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের মাঝের লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখায় দুই পাশের যানবাহনে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এতে করে ওই সড়কে যেসব স্থানে বিআরটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থানসহ বোর্ডবাজার ও টঙ্গী কলেজগেইট এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি যাত্রীর ভিড় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়।

ঘরমুখো মানুষের চাপ মহাসড়কে বাড়ছে যানজট

আজ অধিকাংশ কারখানা ছুটি হবে। মোটামুটি লোকজন বের হয়ে গেছে।নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন। আজ থেকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে, আগামী ২-৩ দিন থাকবে।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে ৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। যানজট নিরসনের জন্য বিআরটি প্রকল্পের মাঝের লেন দিয়ে ময়মনসিংহগামী যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।গাজীপুরে পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘরমুখো মানুষের চাপ মহাসড়কে বাড়ছে যানজট

আপডেট সময় ০১:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

মাটি ও মানুষ ডেস্ক-

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ঘরে ফিরতে শুরু করছে কর্মজীবী মানুষেরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসন ও যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে গাজীপুর মহানগর, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন।জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রায় ১১৭টি রুটের যানবাহন চলাচল করে। কর্মের তাগিদে উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষ গাজীপুর ও আশপাশের জেলায় বসবাস করেন। ঈদের ছুটিতে এসব অঞ্চলের মানুষ একসঙ্গে গ্রামের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেন। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করে।

এতে মহাসড়কের কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের ৩ দিন বাকি থাকলেও শিল্পনগরী গাজীপুরে অনেক কারখানা আজ ছুটি হবে। অনেকে যানজটের ভয়ে আগেই স্ত্রী-সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার কারণে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।এদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে ভোগড়া থেকে টঙ্গীর কলেজগেইট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের মাঝের লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখায় দুই পাশের যানবাহনে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এতে করে ওই সড়কে যেসব স্থানে বিআরটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব স্থানসহ বোর্ডবাজার ও টঙ্গী কলেজগেইট এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি যাত্রীর ভিড় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়।

ঘরমুখো মানুষের চাপ মহাসড়কে বাড়ছে যানজট

আজ অধিকাংশ কারখানা ছুটি হবে। মোটামুটি লোকজন বের হয়ে গেছে।নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন। আজ থেকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে, আগামী ২-৩ দিন থাকবে।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে ৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। যানজট নিরসনের জন্য বিআরটি প্রকল্পের মাঝের লেন দিয়ে ময়মনসিংহগামী যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।গাজীপুরে পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।