রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি বসতবাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। টিভি, ফ্রিজ, পোশাক এমনকি দালানের ইট-রড পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী পরিবার গত ৭ আগস্ট খিলগাঁও থানায় সাতজনকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩ আগস্ট সকালে হঠাৎ-ই একদল লোক হানা দেয় খিলগাঁওয়ে গোড়ান এলাকার বাসিন্দা হান্নানের বাড়িতে। একে একে সবাই বেরিয়ে আসেন বাড়ির সব মালামাল নিয়ে। কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেই হন নির্মম আক্রমণের শিকার।
যুগেরও বেশি সময় ধরে বাড়িটির বাসিন্দা হান্নান এবং তার বোন শাহিনুর বেগম। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসারের সমস্ত জিনিসপত্র শাহিনুর বেগমের চোখের সামনেই হয় ভাগাভাগি।
জায়াগা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি বাসিন্দাদের। তাদের উচ্ছেদের দায়িত্ব বর্তায় মকবুল, সুজন, জিয়া, ফারুকের, আলআমিন, ইয়াসিনের ওপর। যারা প্রত্যেকেই স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধার অনুসারী।
শাহীনুর বলেন, ‘আমার ৪০ বছরের সংসারের সবকিছুই নিয়ে গেছে। আমাদের পুরো শেষ করে দিয়েছে।’হান্নান বলেন, ‘ইউনূস মৃধা জমি নিয়ে অবৈধ কাগজ বানিয়েছে। আমরা বলেছি আইনের মাধ্যমে আসতে। কিন্তু তিনি মানতে রাজি না। তার ভয়ে আমরা আজ বাড়িঘর ছাড়া।’
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাড়িটি থেকে দুর্বৃত্তরা টিভি ফ্রিজ, পরনের কাপড় এমনকি বাড়ির ইট রড পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। লুটপাটের পর নিজেদের মধ্যে মহোৎসবে মাতেন তারা।
শুধু এই বাড়ি নয়, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু বাড়ি দখলের সঙ্গে জড়িত এই ইউনূস। সব কিছু জেনেও কোন এক অদৃশ্য ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী।
এসব বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি ইউনূসের, মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠালেও তার জবাব মেলেনি।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা মিলবে তাদের প্রত্যেকেই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।