ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত কৃষক দল নেতাকে

বরগুনার পাথরঘাটায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের ওপর হামলার ঘটনায় কৃষক দল নেতা মো. ইদ্রিস মুন্সীকে প্রকাশ্যে ২৫ বেত্রাঘাত ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকালে উপজেলার রূপদোন আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসমক্ষে সালিশে এ বিচার করা হয়।

এ সময় সালিশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শাপলা কাঁঠালতলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন সিকদারসহ অনেকে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক এ রায় দেন।

বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক জানান, গত ৪ জুলাই ইদ্রিসের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ও চিকিৎসক কৃষ্ণ হালদারকে তার মাকে একবার দেখার অনুরোধ করলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় ইদ্রিস লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে কৃষ্ণ হালদারের হাত ভেঙে দেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়। গরিবের ডাক্তার নামে পরিচিত কৃষ্ণ হালদারের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়েও ইদ্রিসকে ধরতে পারেনি। বিষয়টি বিএনপির দলীয় পর্যায়েও আলোচিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, ‘ইদ্রিসের পরিবারের সবাই আমার ছাত্র। সে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ভুল স্বীকার করেছে। এতেই আমি বিচার পেয়েছি। ছাত্র হিসেবে তাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।’

ইদ্রিস মুন্সি বলেন, ‘কাজটি আমার অন্যায় হয়েছে। আমি ভুল স্বীকার করেছি।’

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ইদ্রিসের নামে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সালিশ হলেও পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করবে। আপস-মীমাংসা হলে তা আদালত বুঝবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত কৃষক দল নেতাকে

আপডেট সময় ১০:১৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনার পাথরঘাটায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের ওপর হামলার ঘটনায় কৃষক দল নেতা মো. ইদ্রিস মুন্সীকে প্রকাশ্যে ২৫ বেত্রাঘাত ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকালে উপজেলার রূপদোন আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসমক্ষে সালিশে এ বিচার করা হয়।

এ সময় সালিশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শাপলা কাঁঠালতলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন সিকদারসহ অনেকে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক এ রায় দেন।

বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক জানান, গত ৪ জুলাই ইদ্রিসের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ও চিকিৎসক কৃষ্ণ হালদারকে তার মাকে একবার দেখার অনুরোধ করলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় ইদ্রিস লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে কৃষ্ণ হালদারের হাত ভেঙে দেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়। গরিবের ডাক্তার নামে পরিচিত কৃষ্ণ হালদারের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়েও ইদ্রিসকে ধরতে পারেনি। বিষয়টি বিএনপির দলীয় পর্যায়েও আলোচিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, ‘ইদ্রিসের পরিবারের সবাই আমার ছাত্র। সে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ভুল স্বীকার করেছে। এতেই আমি বিচার পেয়েছি। ছাত্র হিসেবে তাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।’

ইদ্রিস মুন্সি বলেন, ‘কাজটি আমার অন্যায় হয়েছে। আমি ভুল স্বীকার করেছি।’

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ইদ্রিসের নামে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সালিশ হলেও পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করবে। আপস-মীমাংসা হলে তা আদালত বুঝবে।