এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রউফ পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান মিন্টুর সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি করতেন। এরপর মিন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দেন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি এলাকায় এসে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর দোয়া চেয়ে বিভিন্ন পোগ্রাম ও বিলবোর্ড টানিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টাকার বিনিময়ে ওই অফিস জুয়ারুদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার খেলা চলে। এলাকায় গরু চুরি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে একটি চক্র। কয়েকটি স্পটে সারারাত ধরে কয়েকমাস ধরে জুয়া খেলা হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে না।
তারা আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ভাগ্নের আশীর্বাদে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেল। সেই সময় সালিশ দরবার ও চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। এসব নেতা কোনো মামলার শিকার হোন নি। এলাকায় পূর্বের মতোই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। জুয়ার ব্যাপক সয়লাব করেছে। পুলিশ এদেরকে গ্রেপ্তার করছে না।
আতাইকুলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম হাবিবুল আওয়াল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক ৯ জনকে শুক্রবার দুপুরে মামলার মাধ্যমে পাবনা কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।