এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার শুক্রবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে ওই কিশোরী। মধ্যরাতে প্রতিবেশী এক আত্মীয় পরিচয়ের সজিব মিয়া (২১) জানালার কাছে গিয়ে তাকে ডেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। পরে নানা কৌশলে মেয়েটিকে বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সজিব ধর্ষণ করে। এরপর তার দুই বন্ধু নাহিদ ইসলাম (১৯) ও সোহেল রানা (২০) পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশপাশের দু’জন পথচারী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে অভিযুক্তরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি ও প্রলোভন দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করে। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে থানায় ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।