শেষ হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ৪৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা। এদিন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদকে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। জেরায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইস্যুতে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। জবাবে সাক্ষী বলেন, আন্দোলন ছিল ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের হত্যা মামলায় ৪৮তম সাক্ষী ছিলেন আন্দোলনের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ।
রোববার দেয়া জবানবন্দির ওপর আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। জেরার শেষ পর্যায়ে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইস্যুতে প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন।
জেরার প্রশ্নে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বলেন, জুলাই আন্দোলন ছিলো বৈধ সরকারকে উৎখাতে মেটিকিউলাস ডিজাইন, আন্দোলনকারীরা ছিলেন ষড়যন্ত্রকারী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন প্রশ্নে হতবাক সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো জুনায়েদ।
এ প্রশ্নের জবাবে জুনায়েদ বলেন, এটি ছিলো ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ও বৈধ আন্দোলন। এছাড়া, গণহত্যায় জড়িতদেরও বিচার দাবি করেন তিনি।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।