বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী (অবসর) গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে শহরের আলহেরা একাডেমি এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সোমবার গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে আদালতে আনা হবে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন। জেলা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার আগে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট গুলিতে নজিবুল সরকার (বিশাল) নামের এক ছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মজিদুল সরকার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে ১২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে ৩০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৫ আগস্ট জয়পুরহাট থানা এলাকায় মেহেদী নামের এক অটোচালক গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলাতেও গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে ৫১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ দুটি হত্যা মামলা ছাড়াও গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর নামে সদর ও পাঁচবিবি থানায় আরও কয়েকটি মামলা আছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সদর থানায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। এর প্রায় সব কটিতেই গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর নাম আছে।