ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

যশোরের কারাফটকে ধরা ‘আয়নাবাজি’ মামার বদলে কারাগারে ভাগনে,

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৯:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

যশোরের একটি মামলায় আসামি সেজে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। এজলাস শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে আসামি সেজে আদালতে হাজিরা দেওয়া সেই যুবককে প্রিজনভ্যানে কারাফটকে নিয়ে ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে ভিন্ন ঘটনা।

অপরাধধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজির’ আরেক ঘটনা যেন ধরা পড়ে কারাফটকে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটেছে।

আসামি সেজে আাসা ওই যুবকের নাম মো. শামীম আহম্মেদ (২৭)। তিনি যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। শামীম তার আপন ছোট মামা হাসানের পক্ষে আসামি সেজে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রকৃত আসামি হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা বড় ভেকুটিয়া গ্রামের হাসানের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায়। কোতোয়ালি থানার ওই মামলা নম্বর -২৪; জি.আর-৯৩১/; ধারা-৪৪৮/৩২৩ ৩৫৪/৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ দ. বি.। এই মামলায় হাসান সেজে তার পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন শামীম। মঙ্গলবার শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।

এদিকে, শামীম কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম, ঠিকানা যাচাইয়ের সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে কারাগারে তার ফিঙ্গার প্রিন্টে (এনআইডি নং-১৯৫৫১৪৭৪৪০) প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।

কারা সূত্র আরও জানিয়েছে, শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হাসান তার আপন ছোট মামা। হাসানের পরিবর্তে সে আসামি সেজে এসেছে। মামার পরিবর্তে সে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ জানান, নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

যশোরের কারাফটকে ধরা ‘আয়নাবাজি’ মামার বদলে কারাগারে ভাগনে,

আপডেট সময় ০৯:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের একটি মামলায় আসামি সেজে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। এজলাস শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে আসামি সেজে আদালতে হাজিরা দেওয়া সেই যুবককে প্রিজনভ্যানে কারাফটকে নিয়ে ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে ভিন্ন ঘটনা।

অপরাধধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজির’ আরেক ঘটনা যেন ধরা পড়ে কারাফটকে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটেছে।

আসামি সেজে আাসা ওই যুবকের নাম মো. শামীম আহম্মেদ (২৭)। তিনি যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। শামীম তার আপন ছোট মামা হাসানের পক্ষে আসামি সেজে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রকৃত আসামি হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা বড় ভেকুটিয়া গ্রামের হাসানের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায়। কোতোয়ালি থানার ওই মামলা নম্বর -২৪; জি.আর-৯৩১/; ধারা-৪৪৮/৩২৩ ৩৫৪/৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ দ. বি.। এই মামলায় হাসান সেজে তার পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন শামীম। মঙ্গলবার শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।

এদিকে, শামীম কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম, ঠিকানা যাচাইয়ের সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে কারাগারে তার ফিঙ্গার প্রিন্টে (এনআইডি নং-১৯৫৫১৪৭৪৪০) প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।

কারা সূত্র আরও জানিয়েছে, শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হাসান তার আপন ছোট মামা। হাসানের পরিবর্তে সে আসামি সেজে এসেছে। মামার পরিবর্তে সে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ জানান, নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।