আপিল বিভাগের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি আদালত কর্তৃক এই আপিল সর্বসম্মতভাবে মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং রায়ের কার্যকারিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, ‘সাতজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে ৪ জন এবং পক্ষে ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সাহেবের নেতৃত্বাধীন যে রায়, সেই পুরো রায়টিই রিভিউ করেছেন। রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল। রিভিউয়ের পর আজকের রায়টি সর্বসম্মতভাবে প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের আইন, বিচার এবং সংবিধান মোতাবেক এই রায়টি হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের রায়।’
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, ‘আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, যা ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানে সন্নিবেশের কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকারের সুযোগ পেয়েছিল এবং গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছিল, তা সংবিধানে ফিরে এসেছে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এই ব্যবস্থার কারণেই ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছিল এবং কিছু বিচ্যুতি সত্ত্বেও ২০০৮ সালে ভোট দিতে পেরেছিল।
ব্যারিস্টার কাজল অভিযোগ করেন যে- শেখ হাসিনা সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ ভোটারের অধিকারের সুযোগ পাচ্ছে না।

ডিজিটাল রিপোর্ট 





















