ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ বিভাগে বিএনপির সমাবেশের পরিকল্পনা

দশ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরো জোরালো করতে মূলত এই সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দলটি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এসব সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করা সম্ভব হবে।

গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিগুলোতে বড় ধরনের জমায়েত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য, নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ, অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া নীতিমালার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এই বৈঠকে সমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হতে পারে।

বিএনপি নেতারা জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটির একজন সদস্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না, এ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমনকি মামলাও করা যাবে না—এ বিষয়টি উত্থাপন করলে অন্য সদস্যরা তাঁদের মতামত দেন। কোনো কোনো সদস্য মনে করেন, সরকার তাদের সুরক্ষায় এ ধরনের বিধানই করবে তা অনুমেয়।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কতজন উপদেষ্টা হবেন তা সুনির্দিষ্ট করে না বলায় কোনো কোনো সদস্য এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে পরামর্শ দেন কয়েকজন নেতা। অন্যরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করলে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সবার আলোচনার পর ১০ বিভাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা জানান, কিছুদিন পর পর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। অর্থাৎ একটি সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে হলে যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারও তা-ই করছে বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বিএনপি মাঠের কর্মসূচি বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে মাঠে নামবে বিএনপি। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির শোভাযাত্রার মূল্যায়ন করেন নেতারা। তাঁরা বলেন, রাজধানীর শোভাযাত্রায় বড় ধরনের জমায়েত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। সুতরাং বিএনপিকে বাইরে রেখে কিংবা এড়িয়ে কোনো কিছু করা যাবে না। এ ছাড়া বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সহযোগী ও সহায়ক শক্তি। তাই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেই সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, দুজন উপদেষ্টার বিষয়ে সব মহল থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও প্রশ্ন তুলেছে। বিক্ষোভও হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এ দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ হতাশাজনক। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই এবং চিন্তা-ভাবনা করে তাঁদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া, বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা।

এর আগে আরেক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া আরো একজন উপদেষ্টার বিষয়েও বিএনপির নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের কেউ কেউ বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশাসন, মাঠ প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে। জামায়াত নেতাদের কিছু বক্তব্যে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ‘অসন্তুষ্টি’ রয়েছে। এর পরও সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে যে জাতীয় ঐক্য দরকার, সেই প্রশ্নে বিএনপির জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো উচিত নয় বলে কোনো কোনো সদস্য মন্তব্য করেছেন। এনিয়ে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের অবশ্য ভিন্নমতও রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ বিভাগে বিএনপির সমাবেশের পরিকল্পনা

আপডেট সময় ১২:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
দশ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরো জোরালো করতে মূলত এই সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দলটি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এসব সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করা সম্ভব হবে।

গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিগুলোতে বড় ধরনের জমায়েত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য, নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ, অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া নীতিমালার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এই বৈঠকে সমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হতে পারে।

বিএনপি নেতারা জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটির একজন সদস্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না, এ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমনকি মামলাও করা যাবে না—এ বিষয়টি উত্থাপন করলে অন্য সদস্যরা তাঁদের মতামত দেন। কোনো কোনো সদস্য মনে করেন, সরকার তাদের সুরক্ষায় এ ধরনের বিধানই করবে তা অনুমেয়।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কতজন উপদেষ্টা হবেন তা সুনির্দিষ্ট করে না বলায় কোনো কোনো সদস্য এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে পরামর্শ দেন কয়েকজন নেতা। অন্যরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করলে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সবার আলোচনার পর ১০ বিভাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা জানান, কিছুদিন পর পর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। অর্থাৎ একটি সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে হলে যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারও তা-ই করছে বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বিএনপি মাঠের কর্মসূচি বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে মাঠে নামবে বিএনপি। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির শোভাযাত্রার মূল্যায়ন করেন নেতারা। তাঁরা বলেন, রাজধানীর শোভাযাত্রায় বড় ধরনের জমায়েত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। সুতরাং বিএনপিকে বাইরে রেখে কিংবা এড়িয়ে কোনো কিছু করা যাবে না। এ ছাড়া বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সহযোগী ও সহায়ক শক্তি। তাই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেই সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, দুজন উপদেষ্টার বিষয়ে সব মহল থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও প্রশ্ন তুলেছে। বিক্ষোভও হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এ দুজন উপদেষ্টার নিয়োগ হতাশাজনক। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই এবং চিন্তা-ভাবনা করে তাঁদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া, বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা।

এর আগে আরেক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া আরো একজন উপদেষ্টার বিষয়েও বিএনপির নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের কেউ কেউ বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রশাসন, মাঠ প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব বাড়ছে। জামায়াত নেতাদের কিছু বক্তব্যে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ‘অসন্তুষ্টি’ রয়েছে। এর পরও সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে যে জাতীয় ঐক্য দরকার, সেই প্রশ্নে বিএনপির জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো উচিত নয় বলে কোনো কোনো সদস্য মন্তব্য করেছেন। এনিয়ে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের অবশ্য ভিন্নমতও রয়েছে।