ময়মনসিংহ , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পাকিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন অভিযোগ প্রমাণ হলে জেলে যেতে রাজি বললেন গাজী তানভীর এনবিআর কর্মকর্তাদের ৪ দাবিতে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা টিকটক ভিডিও করতে ফটোগ্রাফারকে খুন করে ক্যামেরা ছিনতাই ইসি পুনর্গঠনের দাবি গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বললেন ফারুক ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা শোধ না করলে জেল বললেন শ্রম উপদেষ্টা শ্রমিকের পাওনা শোধ না করলে মালিকদের জেলে যেতে হবেবলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ভারী বৃষ্টির আভাস ৩ বিভাগে সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বললেন এনসিপি ইশরাক দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু তিশার মরদেহ উদ্ধার

গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু তিশার মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে রাজৈর উপজেলার স্লুইসগেট নয়াকান্দি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত মাদরাসা ছাত্রীর তিশা আক্তার (১১)। সে একই গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে। তিশা নয়াকান্দি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তবে পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যায় তার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যার পরে ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিস এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশার কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে সুকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।

নিহত মাদরাসা ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম জানান, ‘আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিস করছিলাম। এ সময় কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে যাই এবং আমার মেঝ মেয়ে তিশাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেইট আটকানো ও ঘরের মেজেতে দেয়া ছালার বস্তা আউলা-ঝাউলা অবস্থায় আছে। এ সময় ভিতরে ঢুকেই দেখি সুকেজের পাশে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। একই সঙ্গে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান নিহত তিশার বাবা মিলন শেখ।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন

গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু তিশার মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় শিশু তিশার মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে রাজৈর উপজেলার স্লুইসগেট নয়াকান্দি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত মাদরাসা ছাত্রীর তিশা আক্তার (১১)। সে একই গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে। তিশা নয়াকান্দি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তবে পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যায় তার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যার পরে ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিস এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশার কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে সুকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।

নিহত মাদরাসা ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম জানান, ‘আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিস করছিলাম। এ সময় কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে যাই এবং আমার মেঝ মেয়ে তিশাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেইট আটকানো ও ঘরের মেজেতে দেয়া ছালার বস্তা আউলা-ঝাউলা অবস্থায় আছে। এ সময় ভিতরে ঢুকেই দেখি সুকেজের পাশে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। একই সঙ্গে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান নিহত তিশার বাবা মিলন শেখ।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’