নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালে ফরহাদ হোসেনের ছাত্রত্ব বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ । ছাত্রত্ব না থাকার সত্ত্বেও ২০২২ সালে মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পান ফরহাদ হোসেন।
গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক পটভূমি পালাবদল হয়। এরপর থেকে ছাত্রত্ব ফিরে পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এই ছাত্রদল নেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮৩ তম একাডেমিক কাউন্সিলর সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ছাত্রত্ব ফিরে পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর আবেদন করেছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, একাডেমিক কাউন্সিলর সভায় নিজের ছাত্রত্ব ফিরে পেতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে জোর লবিং করছেন ছাত্রদলের এই নেতা।
মো. ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কলেজ গেট দোকানগুলোতে চাঁদাবাজি অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ড্রপ আউট হওয়ার এই দীর্ঘ সময়ের পর নিয়ম অনুযায়ী তিনি ছাত্রত্ব ফিরে পেতে পারেন না। আশা করি, নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রদলের এই নেতার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যাবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলর সভায় সে আবেদন করেছে। আবেদন সবাই করতে পারে। এ ব্যাপারে একাডেমিক কাউন্সিলর সিদ্ধান নেবে তার ছাত্রত্ব ফিরে পাবেকি পাবে না। আর কোন অনিয়মের মাধ্যমে কোন কিছু হবে না বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১০ মে (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল- কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট শেকৃবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
আহমেদুল কবীর তাপসকে সভাপতি এবং বি.এম. আলমগীর কবীরকে সাধারণ সম্পাদক করে অনুমোদিত এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারিক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে অনুমোদিত কমিটিতে আগামী ১৫ দিনের মাঝে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।