ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার বললেন রিজওয়ানা অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: তিনজন গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে প্রধান বিচারপতি বিকালে বিদায়ী ভাষণ দিবেন নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসির চিঠি আইজিপিকে হাদির ওপর হামলা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র বললেন নাহিদ আশঙ্কা করছি, হাদির মতো এ রকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে বললেন মির্জা ফখরুল ‘ মির্জা ফখরুলের দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও’ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে বললেন মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা দেশকে মেধাহীন করতে হাদিকে হত্যাচেষ্টা, হিট লিস্টে অনেকেই বললেন আসিফ মাহমুদ আজ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বেগম খালেদা জিয়া কে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারেক কন্যা জাইমা

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাতনী এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান প্রায় সাড়ে সাত বছর পর দাদীকে কাছে পেয়েছেন।

দাদির পাশাপাশি চাচি শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই চাচাতো বোন জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে কাছে পেয়ে উপভোগ করছেন পরিপূর্ণ এক পারিবারিক জীবন।দাদীকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারেককন্যা।

আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘চিকিৎসা শেষ করে দাদুকে নিয়ে আমরা এখন বাসায়। সবাই দাদুর জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আপনাদের দোয়া আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান।’

জাইমা তার দাদী খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ কাছে পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।

তারেক রহমানকে (বর্তমানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ১/১১ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ রাতে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া হয়। ওই সময় প্রায় ১৮ মাস তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানকে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় ধাপে ধাপে তাকে জামিনও দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে, তিনি ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার ৮ দিন পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

তিনি সেখানে থেকেই বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লন্ডনে বসেই বিএনপি’কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণে জেষ্ঠ্য পুত্রের প্রবাস জীবন, অপরদিকে আওয়ামী সরকারের একগুঁয়েমী রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ২০১৫ সালে কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অকাল-মৃত্যুর শোক খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে কাতর ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তুলে।

পরবর্তীতে, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং একই দিনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই (৫ আগষ্ট) নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তি পান।

তখন থেকেই তার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে এ বছরের (২০২৫) ৭ জানুয়ারি রাতে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে কাতারের আমীরের দেওয়া বিশেষ একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের পথে যাত্রা করেন।

কাতারের দোহায় যাত্রাবিরতি শেষে পরের দিন ৮ জানুয়ারি তিনি ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেন। সেখানেই সাড়ে সাত বছর পর ‘মা ও ছেলের’ মধ্যে আনন্দ-অশ্রু’র মধ্য দিয়ে ঘটে মহামিলন।

এরপর খালেদা জিয়াকে বিমান বন্দর থেকে সরাসরি মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। সেখানে লিভার বিশেষঞ্জ  অধ্যাপক ডা. জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলে।

যুক্তরাজ্যের ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ ১৭ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে  হাসপাতাল ছেড়ে খালেদা জিয়া শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তারেক রহমানের বাসভবনে যান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার বললেন রিজওয়ানা

বেগম খালেদা জিয়া কে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারেক কন্যা জাইমা

আপডেট সময় ১২:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাতনী এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান প্রায় সাড়ে সাত বছর পর দাদীকে কাছে পেয়েছেন।

দাদির পাশাপাশি চাচি শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই চাচাতো বোন জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে কাছে পেয়ে উপভোগ করছেন পরিপূর্ণ এক পারিবারিক জীবন।দাদীকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারেককন্যা।

আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘চিকিৎসা শেষ করে দাদুকে নিয়ে আমরা এখন বাসায়। সবাই দাদুর জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আপনাদের দোয়া আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান।’

জাইমা তার দাদী খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ কাছে পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।

তারেক রহমানকে (বর্তমানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ১/১১ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ রাতে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়া হয়। ওই সময় প্রায় ১৮ মাস তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানকে ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় ধাপে ধাপে তাকে জামিনও দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে, তিনি ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার ৮ দিন পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

তিনি সেখানে থেকেই বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লন্ডনে বসেই বিএনপি’কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণে জেষ্ঠ্য পুত্রের প্রবাস জীবন, অপরদিকে আওয়ামী সরকারের একগুঁয়েমী রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ২০১৫ সালে কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অকাল-মৃত্যুর শোক খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে কাতর ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে তুলে।

পরবর্তীতে, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং একই দিনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই (৫ আগষ্ট) নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তি পান।

তখন থেকেই তার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে এ বছরের (২০২৫) ৭ জানুয়ারি রাতে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে কাতারের আমীরের দেওয়া বিশেষ একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের পথে যাত্রা করেন।

কাতারের দোহায় যাত্রাবিরতি শেষে পরের দিন ৮ জানুয়ারি তিনি ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেন। সেখানেই সাড়ে সাত বছর পর ‘মা ও ছেলের’ মধ্যে আনন্দ-অশ্রু’র মধ্য দিয়ে ঘটে মহামিলন।

এরপর খালেদা জিয়াকে বিমান বন্দর থেকে সরাসরি মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। সেখানে লিভার বিশেষঞ্জ  অধ্যাপক ডা. জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলে।

যুক্তরাজ্যের ‘দ্যা লন্ডন ক্লিনিকে’ ১৭ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে  হাসপাতাল ছেড়ে খালেদা জিয়া শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তারেক রহমানের বাসভবনে যান।