ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বললেন আইন উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি মামুনের খালাস চেয়ে আপিল হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে বললেন প্রধান উপদেষ্টা সাকিব আল হাসান টি-২০তে ৪৫ বার ম্যাচসেরা , ওপরে মাত্র তিনজন ছায়ানট-উদীচীতে হামলা: প্রতিবাদ লন্ডনে গানে গানে অনুমতি দিলো ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের এখন পুলিশও জরিমানা করবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু রিমান্ডে নেওয়ার সময় কারাগারে কার্যক্রম রাকসু জিএস আম্মারের আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল জানিয়েছে ছাত্রদল
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পাবনায় পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার তিনদিন পর সেই আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ। ওহাব পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পৌর সদরেরর মথুরাপুর বটতলা এলাকার আনসার সরকারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার এজাহারভূক্ত আসামি তার ব্যক্তিগত সহকারী রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মথুরাপুর হাইস্কুল মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সমর্থক স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে ওহাবকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬৪ জন নামীয় ও দুই থেকে তিনশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক নারীসহ ১১ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকেই পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাকেসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত ছিল। অভিযানে ওহাবসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা এখন পুলিশি হেফাজতে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বললেন আইন উপদেষ্টা

পাবনায় পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার তিনদিন পর সেই আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ। ওহাব পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পৌর সদরেরর মথুরাপুর বটতলা এলাকার আনসার সরকারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার এজাহারভূক্ত আসামি তার ব্যক্তিগত সহকারী রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মথুরাপুর হাইস্কুল মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সমর্থক স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে ওহাবকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬৪ জন নামীয় ও দুই থেকে তিনশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক নারীসহ ১১ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকেই পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাকেসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত ছিল। অভিযানে ওহাবসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা এখন পুলিশি হেফাজতে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।