ময়মনসিংহ , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি বললেন জামায়াত আমির মিজানুর রহমান আজহারির উন্মুক্ত মাঠে সকল মাহফিল স্থগিত নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট বললেন প্রেস সচিব দুপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১৫ নরসিংদীতে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি বললেন আইন উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি বললেন আসিফ নজরুল ইসির গণবিজ্ঞপ্তি নতুন ১৬টি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জিল্লুর রহমান সব উপজেলায় সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পাঠানোর নির্দেশ ইসির সভা রবিবার এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মুন্সীগঞ্জ চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা,গ্রেফতার ৫

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার ঘটনায় অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা এবং মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ক্লুলেস এই ঘটনায় প্রযুক্তির সহায়তায় নেয়া হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন: সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)। তারা পুলিশের কাছের হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে মুন্সীগঞ্জের বণিক্যপাড়ার বাদলের
গ্যারেজ থেকে মোহাম্মদ মজিবল মাঝি বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তার ছেলে রাসেল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিখোঁজের জিডি করেন।
পরে ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি ডোবায় বিছানার চাদর ও কম্বল পেঁচানো অবস্থায় ভেসে থাকা অজ্ঞাত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে সেটি মজিবল মাঝির মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা মোটা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তাকে অন্যত্র হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দেশে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় তার ছেলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরদিন আসামিরা নিহতের অটোরিকশা হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন, পরে হাত বদল হয়ে তা রামসিং আলীর গ্যারেজে এক লাখ এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি বললেন জামায়াত আমির

মুন্সীগঞ্জ চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা,গ্রেফতার ৫

আপডেট সময় ০১:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি হত্যার ঘটনায় অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা এবং মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ক্লুলেস এই ঘটনায় প্রযুক্তির সহায়তায় নেয়া হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন: সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১) এবং আলী হোসেন (৪০)। তারা পুলিশের কাছের হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে মুন্সীগঞ্জের বণিক্যপাড়ার বাদলের
গ্যারেজ থেকে মোহাম্মদ মজিবল মাঝি বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তার ছেলে রাসেল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিখোঁজের জিডি করেন।
পরে ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি ডোবায় বিছানার চাদর ও কম্বল পেঁচানো অবস্থায় ভেসে থাকা অজ্ঞাত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে সেটি মজিবল মাঝির মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা মোটা প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তাকে অন্যত্র হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দেশে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় তার ছেলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরদিন আসামিরা নিহতের অটোরিকশা হারুনের কাছে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন, পরে হাত বদল হয়ে তা রামসিং আলীর গ্যারেজে এক লাখ এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়।