ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আমার জন্য কিছুই করা হলো না বললেন আন্দোলনে আহত আজিজুল

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

‘ফাউন্ডেশন হচ্ছে, কাউকে বিদেশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এ দাবি, ওই দাবি পূূরণ করা হচ্ছে অনেকের। কিন্তু আমার জন্য তো কিছুই করা হলো না। চিকিৎসার জন্য জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনে আবেদন করেছি।’

কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. কামাল মিয়ার ছেলে আজিজুল হক (২০)। গুলিতে দৃষ্টি হারিয়েছেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই নরসিংদী জেলা সদরের ভেলানগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন আজিজুল হক।

গত বুধবার দুপুরে কথা হয় আজিজুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, অসচ্ছল কৃষক বাবার পরিবারে আজিজুল আয়েরও একমাত্র ভরসা ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই পানিতে ডুবে ও বড় ভাই ব্রেনস্ট্রোকে মারা যায়।

আজিজুল বলেন, ‘আসলে যত সমস্যা আমাদের মতো দরিদ্রদের নিয়ে। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবতে চায় না। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ঘরে বসে থাকলে কী হয় এটা কেউ একবারও ভেবে দেখে না। এখন আমাদের যে অবস্থা, তাতে চিকিৎসা তো দূরের কথা, খেয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমার জন্য কিছুই করা হলো না বললেন আন্দোলনে আহত আজিজুল

আপডেট সময় ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘ফাউন্ডেশন হচ্ছে, কাউকে বিদেশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এ দাবি, ওই দাবি পূূরণ করা হচ্ছে অনেকের। কিন্তু আমার জন্য তো কিছুই করা হলো না। চিকিৎসার জন্য জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনে আবেদন করেছি।’

কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. কামাল মিয়ার ছেলে আজিজুল হক (২০)। গুলিতে দৃষ্টি হারিয়েছেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই নরসিংদী জেলা সদরের ভেলানগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন আজিজুল হক।

গত বুধবার দুপুরে কথা হয় আজিজুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, অসচ্ছল কৃষক বাবার পরিবারে আজিজুল আয়েরও একমাত্র ভরসা ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই পানিতে ডুবে ও বড় ভাই ব্রেনস্ট্রোকে মারা যায়।

আজিজুল বলেন, ‘আসলে যত সমস্যা আমাদের মতো দরিদ্রদের নিয়ে। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবতে চায় না। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ঘরে বসে থাকলে কী হয় এটা কেউ একবারও ভেবে দেখে না। এখন আমাদের যে অবস্থা, তাতে চিকিৎসা তো দূরের কথা, খেয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’