ময়মনসিংহ , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

‘ইন্টারনেটের দাম কমালেই হবে না, মানসম্মত হতে হবে’

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইন্টারনেটের শুধু দাম কমালেই হবে না; মানসম্মত হতে হবে। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে হবে। তাই এখনো যারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাননি তাদের অন্তর্ভূক্ত করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স মডারেট করতে হবে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিটিআরসির ক্ষমতায়ন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী ২০১০ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজিটালও না স্মার্টও না। আমরা আফ্রিকার পর্যায়ে রয়েছি। আফগানস্তানের কিছুটা ওপরে। ভয়েসের দিন শেষ হলেও এখনো দেশের মোবাইল অপারেটররা এখান থেকেই ৫০-৬০ শতাংশ আয় আসে। মানসম্মত সেবা দিতে হলে এখনই টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হালনাগাদ করা দরকার।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। আমরা চাই সেই শিক্ষা নিয়ে অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশা করব, আইএসপি বা টেলিকমরা কখনোই সরকারের সঙ্গে থাকবেন না, ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। সেজন্য বিটিআরসিকেও জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে ছিলেন টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশ্লেষক ফিদা হক, মোস্তাফা মাহমুদ হুসাইন, আইআইজিএবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকতবর রহমান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান, সিপিবি’র সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের টেকনিক্যাল রেগুলেশন্স এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অনামিকা ভক্ত, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসের প্রমুখ।

এদের মধ্যে টেলিকম খাতের ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্টেকহোল্ডার বৈঠকের আহ্বান জানান আইআইজিএবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকতবর রহমান। অপরদিকে অনামিকা ভক্ত জানান, প্রতি বছর রবি বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করলেও মুনাফা ৩ শতাংশের বেশি হয় না। ফলে মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সরকার এ দিকটায় দৃষ্টি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ফিদা হক বলেন, ডাটার দাম যৌক্তিকী করণ ও ইন্টারনেট পরিকাঠামো পুণর্বিন্যাস করা জরুরী। সহজলভ্য ও দেশের সব প্রান্তে সমান গতিশীল ইন্টারনেট আমাদের লাইফ লাইন। ভয়েস ও এসএমএস এর দিন এখন শেষ। তাই ডাটার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া দরকার।

আবু নাসের বলেন, বিটিআরসি কী রাজস্ব আদায় করবে না সেবা নিশ্চিত করবে সেটা আমাদের আগে পরিস্কার করতে হবে। এই বাজারের মনোপলি ভেঙে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে। এখানে বিস্ময়কর ভাবে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান আকাশ-কে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। করাপশন ও ডিক্টেটরশিপ কমাতে বিটিআরসি-কে এই জায়গায় রোল প্লে করতে হবে। ইনস্টিটিউশন শক্তিশালী হলেই বৈষম্য কমবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিলো। আমরা চাই সেই শিক্ষা নিয়ে অতিদ্রুত অন্তর্তীকালীন সরকার ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করবেন। আমারা আশা করবো আইএসপি বা টেলিকমরা কখনোই সরকারের সঙ্গে থাকবে না, ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। বিটিআরসি-কে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্থার আন্দোলনের দিদারুল ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

facebook sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
whatsapp sharing button
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘ইন্টারনেটের দাম কমালেই হবে না, মানসম্মত হতে হবে’

আপডেট সময় ০৪:১১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইন্টারনেটের শুধু দাম কমালেই হবে না; মানসম্মত হতে হবে। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে হবে। তাই এখনো যারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাননি তাদের অন্তর্ভূক্ত করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স মডারেট করতে হবে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিটিআরসির ক্ষমতায়ন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী ২০১০ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজিটালও না স্মার্টও না। আমরা আফ্রিকার পর্যায়ে রয়েছি। আফগানস্তানের কিছুটা ওপরে। ভয়েসের দিন শেষ হলেও এখনো দেশের মোবাইল অপারেটররা এখান থেকেই ৫০-৬০ শতাংশ আয় আসে। মানসম্মত সেবা দিতে হলে এখনই টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হালনাগাদ করা দরকার।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। আমরা চাই সেই শিক্ষা নিয়ে অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশা করব, আইএসপি বা টেলিকমরা কখনোই সরকারের সঙ্গে থাকবেন না, ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। সেজন্য বিটিআরসিকেও জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে ছিলেন টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশ্লেষক ফিদা হক, মোস্তাফা মাহমুদ হুসাইন, আইআইজিএবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকতবর রহমান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান, সিপিবি’র সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের টেকনিক্যাল রেগুলেশন্স এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অনামিকা ভক্ত, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসের প্রমুখ।

এদের মধ্যে টেলিকম খাতের ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্টেকহোল্ডার বৈঠকের আহ্বান জানান আইআইজিএবি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকতবর রহমান। অপরদিকে অনামিকা ভক্ত জানান, প্রতি বছর রবি বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করলেও মুনাফা ৩ শতাংশের বেশি হয় না। ফলে মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সরকার এ দিকটায় দৃষ্টি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ফিদা হক বলেন, ডাটার দাম যৌক্তিকী করণ ও ইন্টারনেট পরিকাঠামো পুণর্বিন্যাস করা জরুরী। সহজলভ্য ও দেশের সব প্রান্তে সমান গতিশীল ইন্টারনেট আমাদের লাইফ লাইন। ভয়েস ও এসএমএস এর দিন এখন শেষ। তাই ডাটার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া দরকার।

আবু নাসের বলেন, বিটিআরসি কী রাজস্ব আদায় করবে না সেবা নিশ্চিত করবে সেটা আমাদের আগে পরিস্কার করতে হবে। এই বাজারের মনোপলি ভেঙে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে। এখানে বিস্ময়কর ভাবে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান আকাশ-কে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। করাপশন ও ডিক্টেটরশিপ কমাতে বিটিআরসি-কে এই জায়গায় রোল প্লে করতে হবে। ইনস্টিটিউশন শক্তিশালী হলেই বৈষম্য কমবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিলো। আমরা চাই সেই শিক্ষা নিয়ে অতিদ্রুত অন্তর্তীকালীন সরকার ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করবেন। আমারা আশা করবো আইএসপি বা টেলিকমরা কখনোই সরকারের সঙ্গে থাকবে না, ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। বিটিআরসি-কে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্থার আন্দোলনের দিদারুল ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

facebook sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
whatsapp sharing button