মরণব্যাধি ক্যান্সারের নাম শুনলেই আঁতকে উঠেন সবাই। কারণ ব্যয়বহুল চিকিৎসার এই রোগে বেশিরভাগ মানুষ মারা যান। অনেকেই মনে করেন, এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় নেই বললেই চলে। কারণ চিকিৎসা নেয়ার পর অনেক মানুষ মারা যান।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় রয়েছে।
সহজ কিছু উপায় মেনে চললে ক্যান্সার ঝুঁকি কমানো যায়। ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি নিতে পারেন কিছু পদক্ষেপ।
আসুন জেনে নিই ক্যান্সার প্রতিরোধের ৭ উপায়–
১. ক্যান্সারের অন্যতম উপায় হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানের সঙ্গে ক্যান্সার অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বিশ্বে যত ধরনের ক্যান্সার আছে, তারমধ্যে ৯০ শতাংশ ক্যান্সারই ধূমপানের কারণে হয়।
২. আমরা অনেকেই জানি না যে, সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন ডির সঞ্চার হয় ও মেলানিনের সৃষ্টি হয়, যা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে সূর্যের তাপ নির্গত অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা থেকে হয় স্কিন ক্যান্সার। তাই সূর্যের তাপ থেকে শরীরকে বাঁচিয়ে চলুন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস করতে হবে। শরীরের নানা রোগের পেছনে খাদ্যাভ্যাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে। অনিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও মৌসুমি ফল খান।
৪. সবসময় কম আঁচে খাবার রান্না করুন। গবেষকরা বলেন, যারা অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত, তাদের বেশিরভাগেই অগ্ন্যাশয়, কোলোরেক্টাল ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
৫. ব্যায়াম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের হরমোন প্রবাহ, কোষ বৃদ্ধির হার, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা থাকে স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীর চর্চার পেছনে সময় দিন।
৬.পরিবারের সদস্যদের পুরনো কোনো রোগ আছে কিনা সেই সম্বন্ধে আগে জানুন। প্রতি মাসে অন্তত একবার হেলথ চেকআপ করান।
৭.অবাঞ্চিত যৌন সম্পর্ক ছড়াতে পারে ক্যান্সার। সুতরাং সুরক্ষিত উপায়ে সহবাস করুন।