সেখানে পুরোদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর পর তার চোখের সামনে বন্যায় পরিবারের চব্বিশ সদস্যই প্রাণ হারিয়েছে।
অথচ বিয়ের জন্য দেশে ফেরার দুই দিন আগে সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি।
কাদির নগর গ্রামে খালের তীরের ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাদের ৩৬ কক্ষের বড় বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরে এসে আমি শুধু ধ্বংসস্তূপ ও ভারী পাথর দেখেছি। পাহাড় থেকে ভেসে আসা কাদা ও বন্যার পানি সব কিছু ধ্বংস করেছে।’
নিহতদের মধ্যে তার মা, এক ভাই ও এক বোনও আছেন।
তিনি বলেন, ‘এক বিশাল বন্যা এসে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেল– বাড়ি, মা, ভাই, বোন, চাচা, দাদা এবং ছোট ছোট শিশুদেরও। আমরা আর কী করতে পারি? এটি আল্লাহর ইচ্ছা।’ তবে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় তার বাবা ও এক ভাই বেঁচে যান।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন তার চাচাদের পরিবার এবং বিয়েতে যোগদানকারী অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
পাহাড়ি বুনের জেলা সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার দূরত্বে এই এলাকায় ১৫ আগস্ট থেকে ৪০০-এরও বেশি মানুষ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুনের শেষের দিকে শুরু হওয়া বর্ষাকালে সারা দেশে ৭৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আটকে পড়া ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী কাজ করছে।