ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বঙ্গোপসাগরে সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ৫৮ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। মাছের প্রজনন বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এর আগে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও এবার সাত দিন কমিয়ে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের মৎস্যগবেষক, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিন্যাসের দাবি করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তার ওপর কারিগরি গবেষণার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করে গত ১৬ মার্চ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মৎস্যগবেষক, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের সাবেক গবেষক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বিষয়টিকে যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা দেশের সামুদ্রিক মৎস্য খাতের জন্য সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন দাবি করে আসছিলাম। কারণ, আগে সরকার যে উদ্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা দিত, তা দুই দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় প্রতিবেশী দেশকে লাভবান করত। এটা আমাদের মৎস্যসম্পদের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

এদিকে সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ভোলার প্রায় ৬৫ হাজার নিবন্ধিত সাগরের জেলে। ইতোমধ্যে ফিশিংবোট জালসহ মাছ ধরার সব সরঞ্জামাদি নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার শুরুতে সরকারি খাদ্য সহায়তার চালসহ ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন কর্মহীন এসব জেলে। তাদের দাবি, প্রতিবছর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে উপার্জনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এর ফলে জেলেদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। তবে জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রজননকালে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরবর্তী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এ কারণেই প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ১১:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বঙ্গোপসাগরে সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ৫৮ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। মাছের প্রজনন বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এর আগে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও এবার সাত দিন কমিয়ে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের মৎস্যগবেষক, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিন্যাসের দাবি করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তার ওপর কারিগরি গবেষণার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করে গত ১৬ মার্চ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মৎস্যগবেষক, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের সাবেক গবেষক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বিষয়টিকে যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা দেশের সামুদ্রিক মৎস্য খাতের জন্য সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন দাবি করে আসছিলাম। কারণ, আগে সরকার যে উদ্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা দিত, তা দুই দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় প্রতিবেশী দেশকে লাভবান করত। এটা আমাদের মৎস্যসম্পদের জন্য একটি বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

এদিকে সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ভোলার প্রায় ৬৫ হাজার নিবন্ধিত সাগরের জেলে। ইতোমধ্যে ফিশিংবোট জালসহ মাছ ধরার সব সরঞ্জামাদি নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার শুরুতে সরকারি খাদ্য সহায়তার চালসহ ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন কর্মহীন এসব জেলে। তাদের দাবি, প্রতিবছর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে উপার্জনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এর ফলে জেলেদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। তবে জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রজননকালে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরবর্তী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এ কারণেই প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।