কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষায় প্রকাশ্যে বই খুলে উত্তরপত্রে লেখার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায়। মঙ্গলবার ওই মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রের কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়—একটি কক্ষে পরীক্ষাকালীন সময়ে প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার্থীর সামনে খোলা বই রাখা রয়েছে এবং সেখান থেকে দেখে তারা উত্তরপত্র লিখছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ফাজিল (অনার্স) প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছে। গত রোববার প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যে কক্ষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে ৪৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ায় শিক্ষকদের সহায়তায় পরীক্ষায় বই দেখে লেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অসদুপায়ের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, ‘অসদুপায়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

ডিজিটাল রিপোর্ট 






















