ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে !

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন যে, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কৌশলের কারণে দেশের মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, অন্য রাজনৈতিক দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এ নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে রাশেদ খান কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, তবে সেটাকে সাধুবাদ জানানো হবে। কিন্তু শর্ত হলো:

“তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্য দলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি সতর্ক করে দেন যে, দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশেদ খান ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ভুল বার্তা পাবে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত।” উপসংহারে তিনি মত দেন যে, “পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এ কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

রাশেদ খানের বিস্ফারক মন্তব্য জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে !

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন যে, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কৌশলের কারণে দেশের মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, অন্য রাজনৈতিক দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার নীতির কারণে গণঅধিকার পরিষদ এবং ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।

রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জামায়াত এবং শিবিরের অন্য দলে নিজেদের কর্মী যুক্ত করার রাজনীতির নীতি বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিককালে এ নীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে রাশেদ খান কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে মধ্যপন্থি ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়, তবে সেটাকে সাধুবাদ জানানো হবে। কিন্তু শর্ত হলো:

“তাদের পুরো রাজনীতির নীতি হতে হবে প্রকাশ্য নীতি। অন্য দলে যুক্ত হয়ে সেই দলে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ না করলে পুরো দেশের সিস্টেম কলাপস করবে এবং বিরাজনীতিকরণ সৃষ্টি হবে।”

তিনি সতর্ক করে দেন যে, দেশের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এতে জামায়াত-শিবিরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশেদ খান ইসলামকে রাজনীতিতে হাজির করার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি মধ্যপন্থি ধারায় চলছে। এই ধারার সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করলে ইসলামিক দল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ভুল বার্তা পাবে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইসলামিক রাজনীতি করলে পুরোপুরি সেটাই করা উচিত। আর মধ্যপন্থি রাজনীতি করলে সেটাই করা উচিত।” উপসংহারে তিনি মত দেন যে, “পলিটিক্যাল ইসলাম বলে কিছু নাই। ইসলাম কায়েম ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কোনো কৌশল কাজ করে না। বরং এ কৌশলের কারণে আপনি বুঝে শুনে ইসলামকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।”