সরকারি হিসাবে ভরা মৌসুমে উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে সরবরাহের ঘাটতির পাশাপাশি চাঁদাবাজিকেও দায়ী করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ কম এটা প্রধান কারণ। আর চাঁদাবাজিও আছে যেটা এখনও বন্ধ করা যায়নি।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মতো উৎপাদন হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বাস্তবে উৎপাদন আরও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। ঢাকায় ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকার বেশি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বরিশাল ও চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম।
প্রবাসীদের জন্য ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, দেশে বসবাসরত মানুষের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এক বা দুইটি দেশে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানির জন্য সেসব দেশ বাছাই করা হচ্ছে যেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।