শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ।
গত বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টা নাগাদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ শাবিপ্রবি শাখা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকা থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো গোল চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সময় ‘ল তে লাকী, তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘আমার ভাই কবরে, লাকী কেন বাহিরে’, ‘আমার সোনার বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই’, ‘শাহবাগ না জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, একটা একটা শাহাবাগী ধর, ধইরা ধইরা বিচার কর’, ‘শাহবাগী হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলে, শাপলার গণহত্যার দায় পুরোটাই শাহবাগের। গণহত্যা সংগঠিত হওয়ার পর শাহবাগ যে উল্লাস করেছে তা হয়ত আপনারা ভুলে গেছেন। শাহবাগই প্রথম মব কালচার তৈরি করেছে। শাহবাগ থেকেই প্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দাবি উত্থাপিত হয়েছে। শাপলার গণহত্যা জুলাই বিপ্লবের মূল শক্তি।
এছাড়াও তারা ধর্ষণের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় আমরাই প্রথম আমাদের বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু একদল গোষ্ঠী এই ব্যানারকে কেন্দ্র করে তাদের স্বার্থান্বেষী বক্তব্যকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ চাপ দেওয়ার পরও একদল গোষ্ঠী সেটাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ধর্ষণ গুলো হচ্ছে অধিকাংশ পরিবারকেন্দ্রিক। পরিবারের অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রীয় সরকার দিতে পারবে? আমাদের মূল দাবি হচ্ছে সরকারকে চাপ দিয়ে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। সেটাকে এককভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপর চাপিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে অতিদ্রুত এই শাহবাগের কসাই লাকি আক্তার সহ সকল সেবাদাসদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা।